রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
সত্য বটে, তবে তা যদি অপছন্দের হয়, তা হলেই কাজ থেকে বরখাস্ত। কিংবা আরও বড় শাস্তি। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি ও রুশ সেনাদের দুর্দশা নিয়ে মুখ খুলতেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক রুশ কম্যান্ডারকে। দক্ষিণ জ়াপোরিজ়িয়া অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল ইভান পোপোভ। তাঁর কথা প্রকাশ্যে এসেছে একটি অডিয়ো বার্তায়। আজই জানা গিয়েছে, রুশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের মাথায় বসানো হয়েছে নতুন মুখ। আগের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন কোথায় কেউ জানেন না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন পছন্দ আন্দ্রেই ত্রোশেভ ওরফে ‘গ্রে হেয়ার’।
প্রিগোঝিনেরও অভিযোগ ছিল, যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর ছেলেদের অসহায় অবস্থায় ফেলে রাখা হচ্ছে। সামরিক সাহায্য করা হচ্ছে না। এমনকি রুশ প্রশাসনের নির্দেশে ওয়াগনারের উপরেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। প্রিগোঝিনের নেতৃত্বে দু’সপ্তাহ আগে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু আচমকাই থেমে যায় বিদ্রোহ। ওয়াগনার নেতা প্রিগোঝিনকে বেলারুসে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তার পর থেকে তাঁর খবর আর কেউ জানে না। ওয়াগনার বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা-ও অস্পষ্ট। ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তা-ও অনিশ্চিত। ঠিক এ রকম সময়ে সামনে এসেছে আর একটি নাম— পোপোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুশ রাজনীতিক আন্দ্রেই গুরুলেভের পোস্ট করা অডিয়ো বার্তায় ভেসে উঠেছে পোপোভের গলা। তিনি দাবি করেছেন, সত্যি কথা বলার জন্যই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাকে যা বলা উচিত সেই নামেই বলেছিলাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— আধুনিক যুদ্ধের ট্রাজেডি নিয়ে মুখ খুলেছিলাম। পাল্টা হামলা চালানোর জন্য যোদ্ধা নেই, পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নেই, আর সেই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের হাতে করুণ অবস্থা ভাইদের।’’ ঠিক যেন প্রিগোঝিনেরই কথা। তিনিও একই অভিযোগ তুলেছিলেন।
রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’-র সদস্য গুরুলেভ। তিনি অডিয়ো বার্তাটি পোস্ট করলেও কী ভাবে সেটি পেয়েছেন, সে নিয়ে মুখ খোলেননি গুরুলেভ। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, পোপোভ জানাতে চেয়েছেন, শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের ব্যর্থতায় যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের পিঠে ছুরি বসছে। অডিয়ো বার্তায় পোপোভ বলেছেন, ‘‘যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী আমাদের ভাঙতে পারত না। কিন্তু আমাদের উপরমহল দূর থেকে আমাদেরই আঘাত করছে। সবচেয়ে জটিল ও গুরুতর মুহূর্তে বাহিনীর মাথা কেটে দিচ্ছে নৃশংস ভাবে।’’ সেনাবাহিনীতে পোপোভের নাম (কল সাইন) স্পার্টাকাস। তাঁর অভিযোগ, ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে রুশ সেনাদের নির্মম ভাবে মৃত্যুর অন্যতম কারণ রুশ সরকারের উপেক্ষা ও যথাযথ যুদ্ধাস্ত্রের অভাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy