যুবকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একটি সংস্থা এবং এক মহিলা। প্রতীকী ছবি।
নিঃসন্তান দম্পতিদের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি শুক্রাণু দান করতেন। তবে লাগামছাড়া শুক্রাণু দানের জন্য ৫৫০ জনেরও বেশি শিশুর জন্মদাতা তিনি। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ৪১ বছর বয়সি ওই যুবককে তাঁর শুক্রাণু দান করতে নিষেধ করেছে আদালত। ঘটনাটি নেদারল্যান্ডসের।
যুবকের নাম জেকব মেইজার। অভিযোগ, শুক্রাণু দান করে ৫৫০ জনেরও বেশি শিশুর জন্ম দিয়েছেন ওই যুবক। অবিলম্বে ওই যুবককে তাঁর শুক্রাণু দান করা থেকে বিরত থাকতে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে ৯০ লক্ষেরও বেশি টাকা। সম্প্রতি একটি সংস্থা এবং এক শিশুর মা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁরা অভিযোগ জানান যে, অতীতে কত সংখ্যক শিশুর জন্ম দিয়েছেন ওই যুবক, সে ব্যাপারে তাঁদের অন্ধকারে রেখেই শুক্রাণু দান করেছেন জেকব। তাঁদের সন্তানদের সৎভাই বা বোনের সংখ্যা শতাধিক। ফলে এখন তাঁদের সন্তানরা বিড়ম্বনায় পড়েছে।
নেদারল্যান্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, ১২ জনের বেশি মহিলাকে শুক্রাণু দান করা যায় না। পাশাপাশি শুক্রাণু দান করে ২৫ জনের বেশি শিশুর জন্ম দেওয়া যায় না। জেকব কমপক্ষে ১৩টি ক্লিনিকে শুক্রাণু দান করেছেন। সেগুলির মধ্যে ১১টিই নেদারল্যান্ডসের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০০৭ সাল থেকে শুক্রাণু দান করার কাজ শুরু করেছিলেন জেকব। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৫০ থেকে ৬০০ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে বিভিন্ন ক্লিনিকে শুক্রাণু দান করার বিষয়ে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করেই অনলাইনে এই কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন জেকব, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
তবে আদালতে জেকবের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তানলাভে সাহায্য করতেই তাঁর মক্কেল শুক্রাণু দান করেন। পেশায় তিনি সঙ্গীতজ্ঞ। বর্তমানে কেনিয়ায় থাকেন জেকব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy