শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশে গোলমালের পরে বিরোধী বিএনপি এবং জামাতে ইসলামির ডাকা হরতাল ও অবরোধে বাংলাদেশে মোট আড়াইশো যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। ১৫টি বাড়ি ও অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের দমকল ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ।
বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যেই তা বয়কট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে এক যোগে ৪৮ ঘণ্টা করে হরতাল ও অবরোধ ডেকে চলেছে বিএনপি এবং জামাতে ইসলামি। এই সব কর্মসূচিতে মানুষ সাড়া না দিলেও চোরাগোপ্তা হামলায় প্রতিদিনই বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ক’দিনে যে ২৫০টি গাড়ি পুড়েছে, তার মধ্যে বাসের সংখ্যা ১৫৫টি। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ৪৩টি, ২১টি পিক আপ ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ৪৩টি অন্য গাড়ি, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, ট্রেন, অটো রিকশা এবং ব্যাটারি চালিত রিকশা।
বিএনপির যদিও দাবি, এই সব নাশকতায় তাদের কোনও নেতা-কর্মী জড়িত নয়। বরং তাদের নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে চক্রান্ত করে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বের দাবি, জেলায় জেলায় তাঁদের প্রায় সমস্ত নেতাকে নাশকতার মামলায গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। ঢাকায় দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে দু’-এক জন ছাড়া সকলেই কারাগারে।
বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, জামাতে ইসলামিও হরতাল এবং অবরোধ করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করছে না। এ থেকেই স্পষ্ট, নির্বাচনের সময়ে বিএনপি-র নেতা-কর্মীদের আটক রাখার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পুলিশ তা মানতে নারাজ।
তবে টানা তিন দিন ধরে আলোচনার পরেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৩টি শরিক দলের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, শরিকদের গত বারের জেতা আসনের সব ক’টিও এ বার ছাড়তে নারাজ আওয়ামী লীগ। জট খুলতে ২-৩ দিন লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy