Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
International News

বন্দিনীর ক্ষুধার্ত সন্তানকে পুলিশের স্তন্যদান

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার চিনের শানজি প্রদেশে। শানজি জিনজং ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে বিচার চলছিল এক মহিলার। কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময়েই কেঁদে ওঠে তাঁর চার মাসের ছোট্ট শিশুটি। সেই সময় তাঁর ক্ষুধার্ত শিশুকে স্তন্যপান করানোর সিদ্ধান্ত নেন লিনা। অনুমতি দেন ওই মহিলাও।

বন্দিনীর চার মাসের শিশুকে স্তন্যদান করাচ্ছেন হাও লিনা। ছবি: সংগৃহীত।

বন্দিনীর চার মাসের শিশুকে স্তন্যদান করাচ্ছেন হাও লিনা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৩৬
Share: Save:

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এক বিচারাধীন বন্দিনীর সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন চিনের এক মহিলা পুলিশকর্মী হাও লিনা। তাঁর এক সহকর্মী ওই ছবি তোলেন। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাড়া পড়ে যায় গোটা বিশ্বে।

আরও পড়ুন: নাফ নদীতে বিসর্জন, কোরিয়ায় কালো মেঘ, হিমালয়ে ভারসাম্য

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার চিনের শানজি প্রদেশে। শানজি জিনজং ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে বিচার চলছিল এক মহিলার। কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময়েই কেঁদে ওঠে তাঁর চার মাসের ছোট্ট শিশুটি। সেই সময় তাঁর ক্ষুধার্ত শিশুকে স্তন্যপান করানোর সিদ্ধান্ত নেন লিনা। অনুমতি দেন ওই মহিলাও। লিনার কথায়, ‘‘শিশুটির কান্না থামছিল না। আমিও সদ্য মা হয়েছি। বুঝতে পারছিলাম শিশুটিকে ছেড়ে যেতে তার কতটা উদ্বিগ্ন ছিল।’’ শিশুটিকে স্তন্যপান করানোর গোটা ঘটনাটাই ক্যামেরাবন্দি করেন লিনার এক সহকর্মী। তারপর সেটা আদালতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। সেখান থেকে গোটা ঘটনাটাই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে সন্তানকে আদর করছেন মা।

আরও পড়ুন: গাজর রঙের গাড়ি দেখেই গাধার কামড়, তারপর…

মহিলা পুলিশকর্মীর এই পদক্ষেপের সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। প্রশংসায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। এত মানুষের অভিবাদন পেয়ে আপ্লুত লিনা বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি সব পুলিশ অফিসারেরই এই রকম ভূমিকা নেওয়া উচিত। আমি যদি ওই মহিলার জায়গায় থাকতাম, তাহলে চাইতাম আমার সন্তানকেও কেউ সাহায্য করুক।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy