মায়ানমারের এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আশ্রম সবার থেকে যেন আলাদা। রকম দেখে একে 'সর্পাশ্রম' বলাই ভাল। কারণ এখানের বেশির ভাগ আবাসিকই পাইথন, কোবরা বা অন্য বিষধর সাপ। তারা আবার সারা দিন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উইলাথা-র কোলে পিঠে খেলে বেড়াচ্ছে। সন্ন্যাসীও পরম স্নেহে তাদের আগলে রেখেছেন।
জীবজন্তু চোরাচালানের ক্ষেত্রে মায়ানমার বিশ্বের অন্যতম বড় ঘাঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে পাশের দেশ চিন ও থাইল্যান্ডে প্রচুর পরিমাণে সাপ বা অন্য জীবজন্তু চোরাপথে পাচার হয়ে যায়। আর তারই মাঝে ‘সেইকটা থুক্খা টেটু’ আশ্রম এখন যেন সাপেদের জন্য স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।
বছর উনসত্তরের উইলাথা হাতে একটি বড় পাইথন নিয়ে বলছিলেন, “এই সাপগুলি হয় মানুষের হাতে মারা পড়ত, না হলে কালোবাজারে বিক্রি হয়ে যেত। আগে এলাকায় কোনও সাপ ধরা পড়লে মানুষ তাদের মেরেই ফেলতেন বা বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ অথবা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার হাতে কোনও সাপ ধরা পড়লে এখন তাঁরা আশ্রমে দিয়ে যান।”
Buddhist monk Wilatha runs a snake sanctuary in Myanmar, taking in pythons, cobras and vipers that would otherwise be destined for the black market https://t.co/AKcvtfh2yR pic.twitter.com/hem1BW7QIg
— Reuters (@Reuters) December 4, 2020
ধরা পড়ার পর এখানে সাপগুলিকে কিছু দিন রেখে দেওয়া হয়। সময় মতো তাদের আবার প্রকৃত বাসস্থল জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপেদের জন্য ৫ বছর আগে আশ্রমের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে কয়েক হাজার সাপ উদ্ধার করে জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। তবে উইলাথা জানিয়েছেন, তিনি ভয় পান আবার এই সাপগুলি না কারও হাতে ধরা পড়ে যায়।
#Buddhist monk Wilatha holds a rescued Burmese #python at his monastery that has turned into a snake sanctuary on the outskirts of Yangon, #Myanmar , November 26, 2020. REUTERS/Shwe Paw Mya Tin pic.twitter.com/Swa2VMZkK8
— Jorge Silva (@jgesilva) December 4, 2020