ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করতে মুখোশধারী বেশ কিছু ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্যে করে পাথর বোমা ছোড়ে। তবে পুলিশ মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কেন না পুলিশ মসজিদের ভিতরে ঢোকেনি।
আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষ। ছবি: রয়টার্স।
ইজরায়েলি পুলিশ এবং প্যালেস্তিনীয়দের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জেরুসালেম। শুক্রবার রাজধানীর আল-আকসা মসজিদে প্রার্থনার জন্য হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেই সময় প্যালেস্তিনীয়দের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আল-আকসা মসজিদ এবং সংলগ্ন এলাকা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। লাঠিচার্জও করে।
ইজরায়েলি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর চারটে নাগাদ মসজিদ এলাকায় প্যালেস্তানিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এবং হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর পতাকা নিয়ে মার্চ করছিলেন বেশ কিছু যুবক। খবর পেয়ে সেই যুবকদের গ্রেফতার করতেই মসজিদ এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় মসজিদে প্রার্থনা চলছিল। ফলে প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল পুলিশের দলটি।
Masked men hurl stones and set off fireworks, desecrating Al-Aqsa Mosque.
— Israel Foreign Ministry (@IsraelMFA) April 15, 2022
Contrary to FAKE reports, police forces DID NOT enter the mosque. pic.twitter.com/IaXnXbcDts
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মসজিদে আসা পুণ্যার্থীদের ঢাল বানিয়ে তাঁদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন ওই প্যালেস্তিনীয় যুবকরা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, আগুন নিয়ে হামলা চালান ওই যুবকরা। ফলে মসজিদের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এই ঘটনায় ৫৯ জন প্যালেস্তিনীয় জখম হয়েছেন।
ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করতে মুখোশধারী বেশ কিছু ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্যে করে পাথর বোমা ছোড়ে। তবে পুলিশ মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কেন না পুলিশ মসজিদের ভিতরে ঢোকেনি।
বৃহস্পতিবারই হামাস আল-আকসা মসজিদে বিপুল সংখ্যক প্যালেস্তিনীয়দের জড় হওয়ার কথা বলেছিল। পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হতে পারে তা আঁচ করতে পেরেই জেরুসালেম জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy