আবার জোরালো ভূমিকম্প। আবার উৎসস্থল আফগানিস্তান। কম্পন টের পাওয়া গেল দিল্লি-সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি। ভূমিকম্প টের পাওয়ার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন অনেকে। এই নিয়ে তিন দিনের মধ্যে পর পর দু’বার ভারতের উত্তর-পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে ভূমিকম্প হল, যার আঁচ পৌঁছোল দিল্লি পর্যন্ত।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে আফগানিস্তানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গভীরে। মনে করা হচ্ছে, গভীরতা বেশি থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। তবে অনেক দূর পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স (জিএফজ়েড) জানিয়েছে, শনিবারের কম্পনের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সীমান্ত এলাকায়। এই কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশে। শ্রীনগরের এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘আমি ভূমিকম্প বুঝতে পেরেছি। অফিসে বসেছিলাম। আচমকা আমার চেয়ারটা কেঁপে উঠেছিল। এখানে আরও অনেকেই কম্পন টের পেয়েছেন।’’ এ ছাড়া রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়ও অনেকে কম্পন টের পেয়েছেন। সমাজমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা।
মাত্র তিন দিন আগে ১৬ এপ্রিল আফগানিস্তানে আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৫.৬। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ওই কম্পনের উৎসও ছিল অনেক গভীরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২১ কিলোমিটার নীচে। দিল্লি এনসিআরের কিছু কিছু এলাকায় সে দিনও কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল। সমাজমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানান অনেকে।
কিছু দিন আগে মায়ানমারে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আফটারশক (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) হয় ৬.৭ মাত্রায়। জোড়া কম্পনে মায়ানমারে বহু ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি মায়ানমার।