ছবি: সংগৃহীত।
রাজধানীতে ‘রাশিয়া দিবস’ আগামী সোমবার। ভারত-রাশিয়া ২১তম বার্ষিক সম্মেলনের দিনটিকে ঘরোয়া ভাবে এমনই মনে করছেন কূটনীতিকরা। কারণ, এর তাৎপর্য বার্ষিক সম্মেলনের পরিধিতে আবদ্ধ থাকছে না।
প্রথমত, দীর্ঘদিন পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নয়াদিল্লি আসছেন। প্রতিরক্ষা, শক্তি, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, মহাকাশ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ও বিভিন্ন স্তরে রাশিয়ার শীর্ষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হবে ভারতের। প্রকাশিত হবে যৌথ ঘোষণাপত্র। সই হওয়ার কথা দীর্ঘমেয়াদি ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সমঝোতা-সহ বিভিন্ন চুক্তির।
দ্বিতীয়ত, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও (টু প্লাস টু) বৈঠক করবেন। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এই আলোচনা-কাঠামোটি থাকলেও রাশিয়ার সঙ্গে এই প্রথম তা হচ্ছে।
তৃতীয়ত, এই মুহূর্তে ভূকৌশলগত পরিস্থিতি এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জের সামনে। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার আসার পর পুতিনের সঙ্গে মোদীর যোগাযোগ হলেও, মুখোমুখি বৈঠক এই প্রথম। কাবুলে চিন এবং পাকিস্তানের ভূমিকা, তালিবান যাতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে না যোগ দেয়, সে জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি গুরুত্ব পেতে চলেছে মোদী-পুতিন বৈঠকে। তালিবানের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে রাশিয়ার। ভারতের কাছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত, রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সে দেশ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সরঞ্জাম ভারতে পৌঁছতে শুরু করেছে। পুতিনের বৈঠকে বিষয়টিতে বাড়তি মাত্রা যোগ হবে। চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতির আবহে এই সরঞ্জাম যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমেরিকাকে বোঝাতে পেরেছে মোদী সরকার। উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল উৎপাদনের প্রশ্নে ভারত, রাশিয়া চুক্তি করতে চলেছে। সব মিলিয়ে আগামী সোমবার দফায় দফায় চলবে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক। সূত্রের খবর, পূর্ব রাশিয়া থেকে বিভিন্ন গভর্নরকে আসন্ন ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy