জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের লড়াই এ বার মধ্যবর্তী নির্বাচনে। ফাইল চিত্র।
ব্যালটে কোথাও তাঁদের নাম নেই, কিন্তু আমেরিকার মধ্যবর্তী ভোটে অগ্নিপরীক্ষা তাঁদের দু’জনের— প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেনের নেতৃত্বে ডোমোক্র্যাট দল আমেরিকার কংগ্রেসের দুই কক্ষে তাদের আসন ধরে রাখতে পারে কি না, মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। অন্য দিকে, দু’বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের পর হতোদ্যম রিপাবলিকানদের কাছে এই নির্বাচন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে ধারাবাহিক ভাবে হাজির ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেত্রী রোনা ম্যাকড্যানিয়েলের কাছে এই ভোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ভোট আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা নকশা মেনে চলে। যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, কংগ্রেসে তাদের আসন কমে যায়। সেই হিসাবে রিপাবলিকান পার্টি কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদি কোনও মধ্যবর্তী নির্বাচনে চেনা ছকের বাইরে দিয়ে, শাসক দলই কংগ্রেসে বেশি আসন জেতে, তা হলে তা প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বিপুল গণভোট বলেই ধরা হয়। সম্ভবত, সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই এ বার বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করেছেন বাইডেন।
আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবক’টিতেই ভোট হচ্ছে এ বার। সেই সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি এবং ৩৬টি প্রদেশ (স্টেট) ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচন হবে মঙ্গলবার। প্রাক ভোট সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি উঠে এসেছে অনেক রাজ্য থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy