ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া হত বাঁদর! মিশরে আবিষ্কৃত পোষ্যদের কবরস্থান বিশ্বে প্রাচীনতম ?
মিশরের বন্দর শহর বেরেনিস। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরের তলায় লুকিয়ে ছিল ২ হাজার বছরের পুরনো কবরের ইতিহাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২১ ১১:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
মিশরের বন্দর শহর বেরেনিস। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরের তলায় লুকিয়ে ছিল ২ হাজার বছরের পুরনো কবরের ইতিহাস।
০২১৫
সম্প্রতি পোষ্যদের সেই কবরস্থানের সন্ধান মিলেছে এই বেরেনিসের তলায়। মাটি খুঁড়ে যার খোঁজ দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ মার্টা অসিপিন্সকা এবং তাঁর সহযোগীরা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো পোষ্যদের কবরস্থান কি না তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
০৩১৫
সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮৫টি প্রাণীর কবরের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের এই খোঁজ ওয়ার্ল্ড আর্কিওলজি নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
০৪১৫
২০১১ সালে অসিপিন্সকা এবং তাঁর দলবল প্রথম এই কবরস্থান খুঁজে পান। মিশরের শহর বেরেনিসের একটি আবর্জনা ফেলার জায়গার নীচে মাটি খুঁড়ে বার করতে হয় কবরস্থানটি।
০৫১৫
২০১ থেকে খনন শুরু করলেও প্রথম প্রাণীর কঙ্কালের সন্ধান পান ২০১৬ সালে। ওই বছর তাঁরা শ’খানেক কঙ্কাল খুঁড়ে বার করেন এবং সেগুলির পরীক্ষা করেন। কিন্তু তখনও তাঁরা জানতেন না এটি পোষ্যদের কবরস্থান ছিল না কি ভাগাড়ের মতো কিছু ছিল।
০৬১৫
অনেক গবেষণার পর, সমস্ত প্রাণীদের দাঁত, হাড়ের টুকরো ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা এটি কবরস্থান বলে নিশ্চিত করেন।
০৭১৫
যেখানে বিড়াল, কুকুরের পাশাপাশি বাঁদরের হাড়ও পেয়েছেন তাঁরা। সেই বাঁদর আবার ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে দেশে।
০৮১৫
যে কটি বাঁদরের হাড় উদ্ধার করা গিয়েছে তার পরীক্ষা করে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, প্রত্যেকটি বাঁদরই খুব কম বয়সে মারা গিয়েছে।
০৯১৫
সম্ভবত ভারতের আবহাওয়ায় জন্ম হওয়া ওই বাঁদরগুলি সুদূরে মিশরের জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। সে কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
১০১৫
তবে যে হেতু পোষ্য হিসাবে বিড়াল এবং কুকুরের সংখ্যাই বেশি, তাই ওই কবরস্থানে সবচেয়ে বেশি কবর দেওয়া হয়েছে বিড়ালের।
১১১৫
কবরস্থানের ৯০ শতাংশ কবরই বিড়ালের, ৫ শতাংশ কুকুরের। বাকি ৫ শতাংশের মধ্যে বিভিন্ন প্রাণী রয়েছে।
১২১৫
প্রতিটি প্রাণীর কবরেই রাজকীয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কোনও প্রাণীকে উলের গরম জামা জড়িয়ে কবর দেওয়া হয়েছিল। কোনও প্রাণীর গলায় সুন্দর কারুকার্য করা বেল্ট পরানো ছিল।
১৩১৫
গবেষকদের আশ্চর্য করে তুলেছিল একটিই বিষয়। মিশর জুড়ে সাধারণত মমি করে মৃতদেহ সংরক্ষণের যে চল ছিল এ ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি।
১৪১৫
কোনও প্রাণীর শরীরে শুধুমাত্র কাপড় জড়িয়ে আবার কোনওটায় কাপড় জড়ানো ছাড়াই কবর দেওয়া হয়েছিল।
১৫১৫
সে সময়ের মমি করে রাখার চলতি প্রথা কেন এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি তা আজও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি গবেষকেরা। সে বিষয়টিও তাঁদের গবেষণাধীন।