বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। — ফাইল চিত্র।
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। গণনা শুরু হবে সে দিন রাত থেকেই। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল। ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বাংলাদেশের টিভি এবং রেডিয়োতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার কাজ হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। স্বীকৃত রাজনৈতিক দল এবং নির্দল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। এ বার বাংলাদেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের একাদশতম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করাতে হত। সেই সময়সীমা মেনেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। ভারতের মতো ইভিএম নয়, বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ হবে কাগজের ব্যালটেই।
২০১৮ সালের ওই নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ ২৫৭টিতে জিতেছিল। তাদের সহযোগী প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুসেন মহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ২৬টিতে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি ৭টিতে। পরে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এ বার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় ভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত তারা ভোট বয়কটের পথে হাঁটে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy