বিশ্বের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম স্নাতক লুরন্ট সিমন্স। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
শৈশব এখনও কাটেনি। তাতেই অমরত্বের স্বপ্ন। বিস্ময় বালক লুরন্ট সিমন্সের ভাবনায় অবাক গোটা দুনিয়া। কারণ, তার বয়সি আর পাঁচজনের মতো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা পাইলট নয়, বড় হয়ে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে যন্ত্রাংশ বসিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে চায় সে।
বেলজিয়ামের ওস্টেন্ড উপকূলের বাসিন্দা ১১ বছর বয়সি লুরন্ট সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্টুয়ার্প থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম স্নাতক সে। ৩ বছর নয়, মাত্র ১ বছরেই ডিগ্রি অর্জন করেছে।
কিন্তু এ নিয়ে মাতামাতি একেবারেই পছন্দ নয় লুরন্টের। দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম স্নাতক হওয়া প্রসঙ্গে তার সাফ জবাব, ‘‘কনিষ্ঠতম না প্রবীণতম, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই আমার। আমি শুধু জ্ঞান অর্জন করতে চাই। আমার লক্ষ্য অমরত্ব লাভ করা।’’
সংবাদমাধ্যমে লুরন্ট বলে, ‘‘যতগুলো সম্ভব, মানবদেহের ততগুলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যন্ত্রাংশ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চাই আমি। কী ভাবে এগোব, তা ছকেও ফেলেছি। আপনাদের কাছে এটা ধাঁধা মনে হতেই পারে। কিন্তু কণা পদার্থবিদ্যা— ক্ষুদ্রাতিভুদ্র কণার পর্যবেক্ষণ, সেই ধাঁধার প্রথম খণ্ড। ধাঁধার সমাধান করতে অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। তাঁদের মস্তিষ্কেও দৃষ্টিপাত করতেই, যাতে তাঁদের ভাবনাচিন্তার ধারা বুঝতে পারি।’’
এর আগে, দেড় বছরেরও কম সময়ে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে ফেলে লুরন্ট। হাইস্কুল ডিপ্লোমা অর্জন করে মাত্র ৮ বছর বয়সে। বছর দুয়েক আগে পদার্থবিদ্যার প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। তার পরই সব ছেড়ে তাতে মনোনিবেশ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy