পড়ুয়াদের তৈরি মুকুট পরখ করে দেখছেন এক ক্রেতা। মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে তোলা নিজস্ব চিত্র।
সেই অর্থে নামি দামি গ্যালারির ক্রেতা, পোশাকি ভাষায় যাকে বলে ‘বায়ার’ না থাকলেও স্বস্তির নন্দনমেলা দেখল শান্তিনিকেতন।
যাদের জন্য শিল্প সামগ্রীর সম্ভার নিয়ে দু’দিনের মেলায় বসা, মঙ্গলবার সন্ধে গড়াতেই দেখা গেল তাদের অনেকের হাতে হাতে বিশিষ্ট শিল্পী, চিত্রকর এবং প্রায় সমান ভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিল্প সামগ্রী রয়েছে। একে অপরের কাজ দেখছেন সময় নিয়ে। তেমন বিক্রি না হলেও ‘স্বস্তি’-র কথা শোনা গেল বিশ্বভারতীর কলাভবনের উদ্যোগে আয়োজিত নন্দন মেলায় বেশ কিছু স্টল ঘুরে। বললেন ছাত্রছাত্রী, শিল্পী, প্রাক্তনী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখে।
যুক্তি হিসাবে তাঁরা বলছেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সেই অর্থে ইদানীং নাকি ‘আর্ট বাজার’ নেই। ক্রেতাদের দাবি, তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এইবার শিল্প সামগ্রী দাম ক্রেতার ‘নাগালে’ রয়েছে। চিত্রকর যোগেন চৌধুরী বলেন, ‘‘এবার নন্দন মেলায় বাজার মোটামুটি।’’ প্রাক্তন থেকে বর্তমান শিল্পী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, গ্যালারির কর্মকর্তা এবং ক্রেতা ছাড়াও, শিল্প রসিকেরা বেশির ভাগ শিল্প কর্ম কেনা কাটা করেছেন। যেমন গালা পুতুল ৫০ টাকায় ভাবা যায় না। নন্দন মেলায় সেই দামে ক্রেতারা পেয়েছেন।
ফি বছরের মতো এ বারও বিশ্বভারতীর প্রথা মেনে কলাভবন চত্বরে মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে নন্দন মেলা। ৪২-এ পা রাখা এ বারের মেলায়, ছাত্রছাত্রী, বিশিষ্ট শিল্পী, প্রাক্তনীদের কাজকর্ম স্থান পেয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে সাম্প্রতিক কালে ওই মেলায় রয়েছে বিনোদনের কর্মসূচী। ইনসাইড এবং আউটসাইড ইন্সটলেশনের কাজ করেছেন শিল্পীরা। প্রদর্শীত হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিল্পী এবং ছাত্রছাত্রীদের কাজকর্ম রয়েছে মেলায়।
মেলার স্টলে চিত্রকর যোগেন চৌধুরীর কাজ রয়েছে, রয়েছে শিল্পী কে জি সুব্রহ্মণিয়মের কাজ। পাশাপাশি কলাভবনের অধ্যক্ষ দিলীপ মিত্র, শিল্পী অমিয় নিমাই ধারা, শুভঙ্কর, রাজেন, গদাধর, ঈশানী, সাথী এবং সহেলীর মতো ছাত্রছাত্রীদের কাজ। সমানে নজর ক্রেতাদের, সকলের কাজ নিয়ে। মেলায় মিলছে এনামেল পেন্টিং, ড্রইং, গালা পুতুল, সরা পেন্টিং, নতুন বছরের ক্যালেন্ডারও।
শিল্প মেলার উদ্যোক্তা কলাভবনের অধ্যক্ষ দিলিপ মিত্র বলেন, “এইবার দেখা গিয়েছে, বিক্রির ষাট শতাংশ সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, গ্যালারির কর্মকর্তা বা বায়ার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে শিল্প কর্ম সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু এ বার বেশির ভাগ ক্রেতা শিল্প রসিক। তাই এই শিল্প মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য শিল্প কলা এবং সৃষ্টিকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই দিক থেকে আমরা খুশি।”
মন্দিরে চুরি। গ্রিল ও কাঠের দরজা ভেঙে শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের তারা শক্তিপুরের গৌড়িপুর গৌরাঙ্গ মন্দিরে হানা দেয়। দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে প্রাচীন ধাতুর মূর্তি, ১ ফুট ৪ ইঞ্চির উচ্চতার পিতলের রাধারানীর মূর্তি, পিতলের দু’টি ছোট গোপাল মূর্তি, রাধা ও কৃষ্ণের মূর্তি চুরি করেছে। সঙ্গে কাঁসার বাসন, শ্রীকৃষ্ণের হাতের বাঁশি, পায়ের নূপুর, কাঁসর ঘণ্টাও-কিছুই বাদ যায়নি খোয়া যাওয়ার তালিকা থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy