আদালতে ডালিম পান্ডে।—নিজস্ব চিত্র।
নেতাই-কাণ্ডে ধৃত পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে এ বার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হবে। সোমবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতের বিচারক কৃষ্ণমুরারি প্রসাদ গুপ্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএম নেতা ডালিম পাণ্ডে-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য দায়রা সোপর্দ করে মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের এক দিন জেলহাজতে রেখে আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হবে।
পাঁচ অভিযুক্তকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। ধৃতদের পাঁচ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে সোমবার অভিযুক্তদের ফের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। এ দিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত জানান, সিবিআই হেফাজতের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতের অধীনে জেল হাজতে রাখার আবেদন জানান পার্থসারথিবাবু। তার বিরোধিতা করে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রঘুনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আগে গ্রেফতার হওয়া ১২ জনকে জেলবন্দি রেখে মেদিনীপুর দায়রা আদালতে নেতাই-মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ-সহ বিচার চলছে। ফলে, নতুন করে তদন্তের স্বার্থে পাঁচ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন নেই। পাঁচ অভিযুক্ত সম্পর্কে হাইকোর্ট অর্ন্তবর্তী আদেশও দেয়নি।” এই পরিস্থিতিতে ডালিম পাণ্ডে-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে বিচার প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার জন্য মেদিনীপুর দায়রা আদালতে পাঠানোর আবেদন জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে পাঁচ অভিযুক্তকে মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করার
নির্দেশ দেন।
তিন বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে নেতাই-মামলায় অভিযুক্ত লালগড়ের পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে গত ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত ডালিম পাণ্ডে, রথীন দণ্ডপাট, জয়দেব গিরি, তপন দে ও খলিলুদ্দিনকে গত ২৯ এপ্রিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে এক দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ হয়। ৩০ এপ্রিল তাঁদের ঝাড়গ্রাম এসিজএম আদালতে তোলা হয়। ওই দিন পাঁচ অভিযুক্তকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু ঝাড়গ্রাম আদালত তা খারিজ করে দেয়। আদালত চত্বরে পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূলের লোকজনের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন সিপিএমের নেতা-কর্মী ও অভিযুক্তদের পরিজনেরা। ডালিম পাণ্ডেদের নিয়ে আসা পুলিশের গাড়িও আক্রান্ত হয়েছিল। এ দিন থেকে সকালে আদালত (মর্নিং কোর্ট) শুরু হওয়ায় লোকজন কম ছিলেন। গোলমাল হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy