সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বিরোধীদের ধিক্কার জুটেছে আগেই। পরিস্থিতির চাপে দলীয় নেতৃত্ব দিশাহারা। এ বার দলের কর্মীদেরও উৎসাহের অভাব ভোগাতে শুরু করল তৃণমূলকে। অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে জমি অধিগ্রহণ-সহ কেন্দ্রের তড়িঘড়ি নানা সিদ্ধান্তকে তৃণমূল অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়েছে। তার প্রতিবাদে ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনি ও রবিবার রাজ্য জুড়ে মিছিল করার কথা ছিল রাজ্যের শাসক দলের। কিন্তু এই দু’দিনই ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে তৃণমূল কর্মীদের সে ভাবে মাঠে নামতে দেখা যায়নি।
সিবিআই তদন্ত এগনোর সঙ্গে সঙ্গে সারদা কেলেঙ্কারির জল তৃণমূলের নাকের উপর উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাদের মন্ত্রী-সাংসদ জেলে ঢুকেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। বিজেপি-র সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অহিনকুল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও হাতিয়ার পেলেই তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে জমি অধিগ্রহণের অধ্যাদেশের মতো অস্ত্র পেয়েও তৃণমূলের মাঠে নামতে দ্বিধা দলের মধ্যেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশও কি দলে হালে পানি পাচ্ছে না? তৃণমূল কর্মীরাও কি দলের কাজে উৎসাহ হারাচ্ছেন?
গত ৩০ জানুয়ারি মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যার দিনও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। সে দিন সম্প্রীতি দিবস’ পালনের ডাক দিয়েও পথে নামতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। অথচ রাস্তায় নেমেছিল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। পর পর এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, দলের কর্মীদের উপর তৃণমূল নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ কি ক্রমেই শিথিল হচ্ছে? তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, এ সব কিছু নয়। উপনির্বাচনের আগে শেষ শনি ও রবিবার দলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী প্রচারেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। সে জন্যই সব জায়গায় অধ্যাদেশের প্রতিবাদে মিছিল করা যায়নি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই দু’দিন কোথাও কোথাও তো মিছিল হয়েছে। আর পরে তো আরও দু’দিন, ১৪ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি ঘোষণা করা আছে। তখন সর্বত্রই কেন্দ্রের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy