লভ্যাংশ কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাসশ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠল এক বাসমালিকের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে রায়চক-ধমর্তলা রোডে রাজারহাট বাস মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে ওই বাসমালিকের তিনটি বাস চালানোই বন্ধ করে দেন বাসকর্মীরা। পাল্টা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২১০ রুটের কোনও বাস রাস্তায় নামাননি বাসমালিকেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দিনে ওই রুটে ৩৬টি বাস চলাচল করে। শ্রমিক প্রায় ২৫০ জন। তৃণমূলের বাসকর্মী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে ওই রুটের একটি বাসের কন্ডাক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় ধর্মতলা থেকে বাস নিয়ে রায়চক ফিরছিলেন। রাজারহাট মোড়ে বাসটি থামান মালিক বড়জাহান মোল্লা। তিনি অভিযোগ তোলেন, চালক, কন্ডাক্টর ও হেল্পাররা তাঁকে লভ্যাংশ কম দিচ্ছেন। কেন এমন করা হচ্ছে, তা জানতে চান তিনি। এ নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। রবীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁদের এলোপাথাড়ি কিল, চড়-ঘুষি, এমনকী জুতো খুলে মারেন ওই বাস মালিক। তিনি বলেন, “সকলের সামনে আমাদের সঙ্গে ওই ব্যবহার করেন মালিক।” বাস নিয়ে ফিরে এসে সরিষা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর। শ্রমিকরা পুরো বিষয়টি তৃণমূল বাসশ্রমিক সংগঠনকে জানান। তৃণমূলের বাসশ্রমিক সংগঠনের নেতা অরুময় গায়েন বলেন, “আমাদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা ওই মালিকের তিনটি বাসই বন্ধ করে দিয়েছি। বাস মালিকদের জানিয়েছি, অবিলম্বে ওই মালিক ক্ষমা না চাইলে সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।” রায়চক ২১০ রুটের বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজ মোল্লার দাবি, ছ’মাস ধরে কয়েক জন কন্ডাক্টর সারাদিন বাস চালিয়ে খুবই কম লভ্যাংশ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা ১২ জন দুর্নীতিগ্রস্ত কন্ডাক্টরকে চিহ্নিত করেছিলাম। তাঁদের মধ্যে ১১ জনই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য। দিনের পর দিন লোকসান করে গাড়ি চালানো নিয়ে এক বাস মালিকের সঙ্গে বচসার জেরে ওরা ওই মালিকের তিনটি বাসই বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ওই রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।” তবে লভ্যাংশ কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের বাস শ্রমিক সংগঠনটি। তবে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বড়জাহান মোল্লার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের একাংশ ওই বাসটির মাধ্যমেই কলকাতায় আসা-যাওয়া করেন। এ দিন বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy