সৌরনীল ঘোষ।
পথ দুর্ঘটনায় তামিলনাড়ুর ভেল্লোরে মৃত রানিগঞ্জের বল্লভপুরের সৌরনীল ঘোষের (১৯) অঙ্গদান করলেন তাঁর বাবা-মা। বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে অঙ্গ সংগ্রহের জন্য অস্ত্রোপচার।
বিসিসিএলের কর্মী সোমনাথ ঘোষ এবং সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স চন্দনাদেবীর একমাত্র সন্তান সৌরনীল। তামিলনাড়ুর ভেল্লোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মোটরবাইকে যাওয়ার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। তলপেটে ও মাথায় চোট পান। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে পাঠানো হয় সিএমসি-তে। পথে গাড়িতে বমি করেন সৌরনীল। কথাও বলেননি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। প্রথমে তলপেটে অস্ত্রোপচার হয়। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়। তার রিপোর্টে মাথার পিছনে চোট ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার করা হয়। তার পরেও ফের রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে।
শনিবার রাতেই সোমনাথবাবু ও চন্দনাদেবী হাসপাতালে পৌঁছন। বুধবার সকালে ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চেন্নাই থেকে আসা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে অঙ্গ সংগ্রহের জন্য অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ভেল্লোরে রয়েছেন সোমনাথবাবুর সহকর্মী, দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সঙ্গে যুক্ত কৌশিক শ্যাম রায়। তিনি জানান, সৌরনীলের মৃত্যুর পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৌরনীলের অঙ্গদান বা দেহদানের প্রস্তাব দেন। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘ছেলের অঙ্গ আর পাঁচ জনের কাজে লাগবে বলে সোমনাথ ও তাঁর স্ত্রী অঙ্গদানে সম্মতি দেন। এত শোকের মধ্যেও তাঁদের এমন সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়।’’ তিনি জানান, সৌরনীলের হৃদযন্ত্র ও তার ভালভ্, ফুসফুস, কিডনি, লিভার ও চোখ দান করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy