Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

জ্বরে ফের মৃত্যু দেগঙ্গায়, পরিবার বলছে ডেঙ্গি

দেগঙ্গায় এখনও ঘরে ঘরে জ্বর। যা নিয়ে এলাকায় বাড়ছে ক্ষোভ।

আজিজুল হক

আজিজুল হক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫০
Share: Save:

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ফের এক যুবকের মৃত্যু হল দেগঙ্গায়। মৃতের নাম আজিজুল হক (৩৩)। তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। যদিও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে লিখেছে, মৃত্যুর কারণ ‘মেনিঙ্গো এনসেফ্যালাইটিস’। এ দিকে, শনিবার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, ‘‘গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও শহরাঞ্চলে বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদমের মতো কিছু জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা ওই সব এলাকায় গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’’ তপনবাবুর দাবি, দেগঙ্গায় ডেঙ্গি ও জ্বরের পরিস্থিতির অবনতি হয়নি।

দেগঙ্গায় এখনও ঘরে ঘরে জ্বর। যা নিয়ে এলাকায় বাড়ছে ক্ষোভ। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার নতুন রোগী জ্বর নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছেন বলে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১২-১৩ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে চলেছে।

কিছু দিন আগে দেগঙ্গার বাসিন্দা সইফুল বিশ্বাস ও পাপিয়া খাতুন জ্বরে মারা যাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার আইডি হাসপাতালে মারা যান ফারুখ মোল্লা নামে এক যুবক। তিন জনেরই পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এর পরে শুক্রবার আজিজুলের মৃত্যুতে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেগঙ্গায়।

আজিজুলের পরিবার জানায়, দিন সাতেক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন ওই যুবক। সঙ্গে ছিল মাথার যন্ত্রণা ও বমি। স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসায় জ্বর না কমায় আজিজুলকে বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আর জি করে পাঠানো হয়। সেখানেই শুক্রবার মারা যান আজিজুল।

পেশায় ব্যবসায়ী আজিজুলের তিন সন্তান। এ দিন তাঁর স্ত্রী আরিসা বিবি বলেন, ‘‘ওঁকে প্রথমে স্থানীয় ডাক্তারবাবুর কাছে নিয়ে গেলে তিনি রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেন। সেই পরীক্ষাতেই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তার পরে এতগুলো হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচাতে পারলাম না। এখন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা আর সংসার কী করি যে চালাব, জানি না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Deganga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy