—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোয় হোর্ডিং দেবে যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর। তা থাকবে মণ্ডপের সামনে। হোর্ডিং জুড়ে থাকার কথা দফতরের নানা কর্মসূচি এবং সাফল্যের খতিয়ান। আর মণ্ডপের সামনে এই হোর্ডিং রাখলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি পাবে ১০ হাজার টাকা।
দুর্গাপুজোয় অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। গত বার পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই রেখেছেন, আগামী বছর ১ লক্ষ টাকা করে পুজো অনুদান দেওয়া হবে। তার আগে এ বছরই সরকারি হোর্ডিংয়ের নামে এই ভাবে বাড়তি অনুদান পাইয়ে দেওয়ার আয়োজন হচ্ছে বলে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সব পুজো এই সুযোগ পাবে না। জেলা পিছু ২০টি করে পুজোয় এই হোর্ডিং দেওয়া হবে।
রাজ্যের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, হোর্ডিংয়ের মাপ নির্ধারিত হয়েছে। মণ্ডপের সামনে ৬০ বর্গফুটের (১০ ফুট বাই ৬ ফুট) এই হোর্ডিং রাজ্য থেকেই জেলায় আসবে। দফতরের নির্দেশ, পুজো শেষে বিল, ছবি-সহ কিছু নথিপত্র জমা করতে হবে। তার পরই মিলবে ওই ১০ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত এই টাকা দেওয়া নিয়ে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এ সব ঘুরপথে কিছু পুজো কমিটিকে আরও অনুদান পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত। লক্ষ লক্ষ টাকা এ ভাবে খরচ না করে পুজোয় গরিব মানুষের উন্নয়নমূলক কোনও প্রকল্পে বরাদ্দ করা হলে অনেকের মুখে হাসি ফুটত।’’ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তীর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘যুবকল্যাণ দফতরের সিদ্ধান্তে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না।’’ মেদিনীপুরের এক বড়ো পুজো কমিটির কর্মকর্তারও মত, ‘‘ঘুরপথে অনুদানের টাকা গরিব মানুষের হাতেই পৌঁছয়। আর আমরা তো প্যান্ডেলের কাছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার রাখিই। যুবকল্যাণ দফতর হোর্ডিং দিলে, সেটাও রাখব।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরে ১,৩৬০টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। এ বার জেলায় পুজো অনুদান খাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। আর জি কর-আবহে দাসপুরের একটি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া অনুদান প্রত্যাখ্যানের খবর নেই জেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy