তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলেও বিয়েতে রাজি নন প্রেমিক। তাই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলেও তাঁকেই বিয়ে করতে চান। এই দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে শুক্রবার থেকে ধর্নায় বসেছেন কৃষ্ণনগরের এক তরুণী। রবিবারও দুপুর থেকে ধর্না দিয়েছেন তিনি। তরুণীর দাবি, বিয়েতে রাজি হলে ধর্ষণের মামলা তুলে নেবেন। যদিও ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের বক্তব্য, আইনি পথেই বিষয়টির মোকাবিলা করবেন তাঁরা।
কৃষ্ণনগর১ নম্বর ব্লকের চকদিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিরহাট এলাকায় এক যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন তরুণী। শুক্র এবং শনিবারের পর রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ ধর্নায় বসেন তিনি। তরুণীর দাবি, তাঁকে বিয়ে করতে হবে। অন্যথায় ধর্না ছেড়ে উঠবেন না। যদিও ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছে, যে হেতু তরুণী ধর্ষণের মামলা রুজু করেছেন, সে হেতু এ বিষয়ে আইনি পথে বোঝাপড়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস তিনেক আগে কলিরহাটের ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে করিমপুরের ওই তরুণীর। দু’জনেই চক দিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। যুবতীর দাবি, বান্ধবীর সঙ্গে মাসির বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই যুবকটি তাঁর পিছুধাওয়া করে বাড়ি পর্যন্ত এসেছিলেন। এর পর ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। তা থেকেই দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তার কিছু দিন পর থেকেই দু’জনের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন প্রেমিক। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করলেও তরুণীর দাবি, তাঁকে বিয়ে করলে সেই মামলা তুলে নেবেন।
রবিবার ধর্নায় বসে ওই তরুণী বলেন, ‘‘ছেলেটির সঙ্গে তিন মাস আগে সম্পর্ক হয়েছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে সহবাস করেছে। কিন্তু এখন বলছে, আমাকে বিয়ে করবে না। তাই ধর্নায় বসেছি। ওর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর আমার ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হত। আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়লেও এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। আমি বিয়ে করতে চাই। তখন জেদের বসে মামলা করেছিলাম। আমাকে বিয়ে করলে সেই কেস তুলে নেব।’’ ধর্না তুলে নেওয়ার জন্য ওই তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইন্দ্রজিৎ রায়-সহ গ্রামবাসীরা। ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। ও আগে একটা মামলা করেছিল। দু’দিন আগেও এ ভাবে ধর্নায় বসেছিল। তখন আমরা বুঝিয়ে ওকে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy