প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় পবিত্র রায়। (ডান দিকে) সঙ্গে ছিল তাঁদের পুরনো ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তবে বিয়ের কথা পাড়তেই হঠাৎই বেঁকে বসেছেন প্রেমিকা। সেই প্রেমিকাকে ফিরে পেতে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। তবে পুলিশের লাঠিপেটায় ভেঙে গেল প্রেমিকের ধর্না! শনিবার এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের একাংশ।
ধূপগুড়ির মাগুরমারী-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শনিবার প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন পবিত্র রায় নামে এক যুবক। প্রেমিকা পঞ্চমী রায়ের বাড়ির সামনে গাছে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের একাধিক পুরনো ছবি। হাতে নিয়েছিলেন প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, '৫ বছরের ভালবাসা ফিরিয়ে দাও'। পবিত্রর দাবি, “২০১৬ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক। আমার বাড়ির সকলেই এই সম্পর্কের কথা জানে। পঞ্চমী আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসত। কিন্তু এখন সে আমাকে বিয়ে করবে না বলে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে করলে ওর মা-বাবা নাকি আত্মহত্যা করবে বলে ওকে হুমকি দিয়েছে।”
পঞ্চমীর বাড়ির সামনে পবিত্রর ধর্নায় বসার খবর চাউর হতেই ওই এলাকায় রীতিমতো ভিড় জমে যায়। ধর্না দেখার জন্য ছুটে আসেন এলাকার অনেকে। খবর যায় পুলিশেও। তবে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এসেই লাঠিপেটা করতে শুরু করে পবিত্রকে। পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে অবশেষে রণে ভঙ্গ দেন পবিত্র। ধর্নার মাঝেই তাঁকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
শনিবারের এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা সত্যব্রত রায় বলেন, “ওদের মধ্যে যে এ রকম সম্পর্ক রয়েছে, তা আমরা কেউ জানি না। হঠাৎ দেখি আজ (শনিবার) একটা ছেলে ধর্নায় বসেছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। এখন পুলিশ যা করার করবে।”
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পবিত্রকে লাঠিপেটার ভিডিয়ো তুলতে গেলে সাংবাদিককে গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকি, ঘটনার ভিডিয়ো করতেও বাধা দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy