Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Yash Dasgupta

‘অক্ষয়-টুইঙ্কল বিবাহিত, আমরা নই’, নুসরত প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি-র যশ

যশের বিরোধী শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি নুসরতের তরফ থেকে।

অক্ষয়-টুইঙ্কল এবং যশ-নুসরত।

অক্ষয়-টুইঙ্কল এবং যশ-নুসরত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:২৮
Share: Save:

যশ-নুসরতও কি শেষমেশ হাঁটবেন অক্ষয়-টুইঙ্কলের পথে?

বিজেপি-তে যোগদানের পরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। নুসরত এবং তাঁর সম্পর্ককে তুলনা করা হল বলিউডের এই হেভিওয়েট দম্পতির সঙ্গে। কারণ ইদানীংকালে অক্ষয় কুমার পরিচিত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে। অন্য দিকে, স্ত্রী টুইঙ্কল খন্না বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর মতামত জানান।

ঠিক এমনই ঘটেছে ‘যশরত’-এর ক্ষেত্রেও। বিজেপি-তে যশের যোগদানের সময়ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ভর্ৎসনা করে টুইট করেছিলেন নুসরত।

যশের বিরোধী শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি নুসরতের তরফ থেকে। তবে যশকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “একই পরিবারের সদস্যরা কি রাজনীতি বা অন্য কোনও বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন না?” যশ এই প্রসঙ্গে বুঝিয়ে দেন, রাজনীতি এবং হৃদয় একই সরলরেখা ধরে হাঁটে না।

গত বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর এ কথা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যশ দাশগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন নুসরতের সঙ্গে তাঁর ‘বন্ধুত্ব’ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সূত্রে। দু’জনের ভিন্ন দুই দলে থাকাটা তাতে কোনও রকম প্রভাব ফেলবে না। তাঁরা একসঙ্গে ছবিও করবেন। একই প্রসঙ্গে যশ টেনে এনেছিলেন আরও এক বন্ধু-নায়িকা এবং তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর কথাও।

তা হলে কি অক্ষয়-টুইঙ্কলের মতো ভিন্ন মতাদর্শ নিয়েই শান্তিপূর্ণ সহবাসে থাকবেন যশ-নুসরত? যশের স্পষ্ট উত্তর, “এ ক্ষেত্রে সে কথা বলা ঠিক হবে না। অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খন্না বিবাহিত। আমি এবং নুসরত তা নই।”

তৃণমূল সূত্রে খবর, নুসরতের সঙ্গে একই দলে থাকতে ইচ্ছুক ছিলেন যশ। সেই আশা নিয়ে সাংসদ বান্ধবীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় অভিনেতাকে। তবে ‘দিদি’-র আশীর্বাদ নিয়েই রাজনীতির ময়দানে নামেন যশ। কিন্তু প্রথম দিনে মমতার বিরোধিতা করতে তিনি পিছপা হননি। অভিনেতার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায়, এ রাজ্যের ছেলেমেয়েদের রোজগারের তাগিদে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। বাংলায় আরও উন্নত পরিকাঠামো এবং বাণিজ্যের প্রয়োজন। সেগুলি এলেই প্রকৃত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে উঠবে বলে অভিমত অভিনেতার। আর নরেন্দ্র মোদীর দেখানো রাস্তাতেই ‘সোনার বাংলা’-য় ফসল ফলবে বলে তাঁর বিশ্বাস।

যতই বন্ধুত্বের বাণী আওড়ান না কেন যশ, দলবদলের বাজারে নুসরতও গেরুয়া শিবিরে যান কি না, এখন সে দিকেই তাকিয়ে কৌতূহলীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy