ভাইরাসের আক্রমণে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। প্রতীকী ছবি।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ-সহ অসুখে রাজ্যে শিশুমৃত্যু অব্যাহত। মঙ্গলবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে একটি বাচ্চা মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স পাঁচ বছর। ভাইরাসের আক্রমণে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও।
সূত্রের খবর, বালির বাসিন্দা পাঁচ বছরের ওই মেয়েটি বেশ কয়েক দিন ধরেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। গত শুক্রবার শিশুটিকে উলুবেড়িয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বুকে কফ বসে গিয়েছিল। ফুসফুসের প্রায় ৮০ শতাংশে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রবিবার শিশুটিকে বিসি রায়ে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ দিন অন্যান্য হাসপাতালে অবশ্য শিশু মৃত্যুর খবর মেলেনি।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজেও পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট চালু করা হয়েছে। এ দিন থেকেই চালু হয়েছে ১২ শয্যার ওই ‘পিকু’। সূত্রের খবর, সেখানে চার জন ভর্তি রয়েছে। ওই হাসপাতালে শিশুরোগ বিভাগে সাধারণ শয্যা ৫৫টি, এসএনসিইউ ৩২টি। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সংক্রমণের প্রকোপ কমছে। তাতে মনে হচ্ছে,এ বার হাসপাতালে ভর্তিও কমবে।
তবে মাস্ক ব্যবহারের মতো সতর্কতার উপরেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, যারা ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছে কিংবা ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ছিল, আগামী এক বছর সেই শিশুদের খুব সাবধানে রাখতে হবে। সংক্রমণে ওই শিশুদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটুএ দিক-ও দিক হলেই ফের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাদের চিকিৎসক দেখাতে হবে। এক্স-রে করে ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। এখনও যারা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। বরং রোগীকে প্রথমে প্যারাসিটামল দেওয়া ও প্রচুর জল খাওয়ানোর কথা বলছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy