ফাইল চিত্র।
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) সদস্যপদের জন্য বুধবার মনোনয়ন জমা দিলেন মুকুল রায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সরকারের আয়ব্যয় পর্যালোচনার জন্য বিধানসভার নির্দিষ্ট ওই কমিটির চেয়ারম্যানও হতে পারেন তিনি। তবে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য বিজেপির আবেদনে শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৬ জুলাই। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনকারী হিসেবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শুনানিতে ডেকেছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি এবং কালিম্পঙের তৃণমূল-সমর্থিত মোর্চা বিধায়ক সাদা লেপচার সমর্থন করা মুকুলবাবুর মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে শাসক পক্ষ ওই কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিল।
পাল্টা চাপের কৌশল নিতে চাইছে বিজেপিও। বিধানসভার খাতায় মুকুলবাবু বিজেপির বিধায়ক হলেও তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। মোট ২০ সদস্যের পিএসি-তে শাসক ও বিরোধী প্রতিনিধির ভাগ ১৪-৬। বিজেপি যে ৬ জনের তালিকা দিয়েছে, তাতে মুকুলবাবুর নাম তো নেই-ই, বরং শুভেন্দু ছাড়াও নাম রয়েছে বালুরঘাটের দলীয় বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর। তাঁকেই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে চায় গেরুয়া শিবির। ঘোষণা না করলেও বিজেপির পরিষদীয় দলের আলোচনায় একাংশ জানিয়েছেন, প্রথা মতো পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ তাঁদের দেওয়া না হলে কোনও কমিটিরই চেয়ারম্যান পদ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পিএসি এবং মুকুল প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘উনি বিধায়কই থাকবেন না! পিএসি-র সদস্য বা চেয়ারম্যান তো পরের প্রশ্ন!’’
দলত্যাগ-বিরোধী আইনে মুকুলবাবুর বিধায়ক-পদ খারিজের দাবির প্রেক্ষিতে ১৬ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছেন স্পিকার। বিরোধী দলনেতার দাবি, তাঁদের আবেদনের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ জমা দেবেন সে দিন। পাশাপাশিই তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রয়োজনে আদালতে যাব।’’ এক প্রবীণ মন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘বিধানসভার নিজস্ব রীতিনীতি রয়েছে। যে কোনও অভিযোগেরই মীমাংসা হয় তার ভিত্তিতে। তবে চাইলে আদালতে যে কেউ যেতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy