ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
শুক্রবার নবগঠিত বিধানসভায় প্রথম সর্বদল বৈঠক বয়কট করতে পারে বিজেপি। এ নিয়ে সরকারি ভাবে ঘোষণা না করলেও বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ ২ জুলাই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কট করতে চলেছে তারা। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে বিজেপি এবং শাসকদল তৃণমূলের যুযুধান আবহে গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
শেষমেশ সর্বদল বৈঠকে বিজেপি-র উপস্থিতি থাকবে কি না, তা নিয়ে বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা শুক্রবার বলেন, “এখনও সর্বদল বৈঠকের বিষয়ে কোনও সরকারি চিঠি আমরা পাইনি। পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে সাধারণত বিরোধী দলের সদস্যকেই দেখা গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। বুধবার ওই পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তবে ওই মনোনয়ন ঘিরে সদ্য গেরুয়া শিবির ছেড়ে জোড়াফুলে ফিরে আসা মুকুলকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে যুযুধান আবহ তৈরি হয়েছে। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু আগেই জানিয়েছেন,আগামী ১৬ জুলাই স্পিকারের কাছে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের স্বপক্ষে তথ্য ও নথি তুলে ধরবেন তিনি। যদিও খাতায়কলমে বিজেপি-র বিধায়ক হওয়ায় মুকুলের ওই পদে বসায় কোনও বাধা নেই। কারণ, তৃণমূলে ফিরে এলেও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি মুকুল।
মুকুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মধ্যেই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ির নাম জমা দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হিসাবে দলের ৬ জন বিধায়কেও নাম জমা দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে তৃণমূলে ফেরা মুকুলকে সমর্থনের কথাও ঘোষণা করেছেন দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুভেন্দুর দাবি, মুকুলের বিধায়ক পদই থাকবে না। ফলে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদেও তাঁর মনোনয়নকে পাত্তা দিতে নারাজ শুভেন্দু। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে পিএসি চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করতে পারেন স্পিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy