Advertisement
E-Paper

করোনায় সঙ্কটে পরচুল ব্যবসা

এগরা মহকুমার ভগবানপুর এবং তমলুক মহকুমার চণ্ডীপুর থেকে প্রতি বছর চিনের বাজারে পরচুল রফতনি করে কয়েকশো কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আয় হয়।

ভগবানপুরের পরচুল তৈরির কারখানা এখন বন্ধ। নিজস্ব চিত্র

ভগবানপুরের পরচুল তৈরির কারখানা এখন বন্ধ। নিজস্ব চিত্র

গোপাল পাত্র

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:০০
Share
Save

শুধু স্বাস্থ্য নয়, করোনাভাইরাসে সঙ্কটে রুটিরুজিও! পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও চণ্ডীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলে পরচুলের ব্যবসা। দুই এলাকার ৯০ শতাংশের বেশি লোক এই কাজে যুক্ত। সংখ্যাটা প্রায় এক লক্ষ। স্থানীয় কারিগরদের তৈরি পরচুলের একটা বড় অংশই রফতানি করা হয় চিনে। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে আপাতত চিনে সেই রফতানি বন্ধ। আর তাতেই ঘনিয়েছে সঙ্কট।

দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলপ্রদেশ, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে হকার মারফত কাঁচামাল (গোছাচুল) ভগবানপুর ও চণ্ডীপুরের পরচুল কারবারিদের কাছে আসে। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে মহাজনের থেকে আগাম কাঁচামাল তুলে রাখা হয় লাভের আশায়। চিনের বাজারে পরচুলের কদর বেশি। সে দেশের ব্যবসায়ীরা সরাসরি ভগবানপুর-চণ্ডীপুরে চলে আসেন প্রতি বছর। তাঁরা সরাসরি পরচুল কেনায় এখানকার কারিগরদেরও লাভ হয় বেশি।

আরও পড়ুন: এই প্রথম নয়, নতুন নতুন রূপে ফিরে আসে আতঙ্কের করোনাভাইরাস

স্থানীয় সূত্রে খবর, চিনা ব্যবসায়ীদের ৫-৬ জনের দল বছরভর ভগবানপুর এবং চণ্ডীপুরে যাতায়াত করতেন। এলাকাতেই বা দিঘায় ৩-৪ মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে ব্যবসা করে ফিরে যান তাঁরা। চিনা নববর্ষের জন্য গত ডিসেম্বরে সেই চিনা ব্যবসায়ীরা দেশে ফিরে যান। জানুয়ারির শেষে ফের তাঁদের ভগবানপুরে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের হানায় আর তাঁরা আসেননি। ফলে, ভগবানপুর এবং চণ্ডীপুরের পরচুলা কারবারিরা আপাতত কর্মহীন।

স্থানীয় পরচুলা কারবারি শেখ মেহবুল্লা বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের জন্য চিনের বাজারে পরচুল রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় কারবার লোকসানে চলছে। চিনা ব্যবসায়ীরা এ দেশে আসছেন না। ফলে, আমাদেরও কাজ বন্ধ। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সে দিকেই আমরা তাকিয়ে।’’ পরচুল শ্রমিক শেখ মইদুল এবং ফিরোজ আলিও বলছেন, ‘‘প্রতিদিন কাজ করলে ৬০০-৭০০ টাকা মজুরি মিলত। প্রায় দু’মাস কোনও কাজ নেই। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রুজির টানে গ্রাম ছাড়তে হবে।’’

এগরা মহকুমার ভগবানপুর এবং তমলুক মহকুমার চণ্ডীপুর থেকে প্রতি বছর চিনের বাজারে পরচুল রফতনি করে কয়েকশো কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আয় হয়। পরচুলা কারবারিরা জানালেন, প্রতি মাসে ভগবানপুর ও চণ্ডীপুর থেকে চিনে অন্তত ৫০ কোটি টাকার পরচুল রফতানি হয়। বছরে সেই অঙ্কটা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। গত দু’মাস সেই রফতানি বন্ধ থাকায় ঘা খেয়েছে এলাকার অর্থনীতি। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত খবর আমার কাছে নেই। তবে এর সঙ্গে অনেকের রুটিরুজির প্রশ্ন জড়িত। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

সহ-প্রতিবেদন: আনন্দ মণ্ডল

Wig Coronavirus China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।