Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

সন্তান-সহ কলকাতার বধূ উদ্ধার অমৃতসরে, ধৃত এক

অভিযোগ ছিল অপহরণের। তবে তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা হয়, দুই সন্তানকে নিয়ে নেতাজিনগরের গৃহবধূ দীপা ঝা নিজেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২১
Share: Save:

অভিযোগ ছিল অপহরণের। তবে তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা হয়, দুই সন্তানকে নিয়ে নেতাজিনগরের গৃহবধূ দীপা ঝা নিজেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন।

অন্তর্ধান না অপহরণ, সেই রহস্যের সমাধানের আগেই দুই সন্তান-সহ ওই মহিলাকে শুক্রবার অমৃতসর থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামে দীপাদেবীর পরিচিত এক ব্যক্তিকে এ দিনই তাঁর টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনাটা কী, তা নিয়ে ধন্দে আছে পুলিশও। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে তারা। ওই গৃহবধূ এবং তাঁর সন্তানদের খুব শীঘ্রই আনা হচ্ছে কলকাতায়।

রহস্যের সূচনা ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে। দীপাদেবীর বছর বারোর ছেলে অলোক এবং বছর আষ্টেকের মেয়ে প্রগতি সে-দিনও বাঁশদ্রোণীর স্কুলে গিয়েছিল। ‘তাদের আনতে যাচ্ছি’ বলে হাজরার শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে তিনি জানান, ফিরতে দেরি হবে। কিন্তু রাত পর্যন্ত দীপাদেবী বা তাঁর ছেলেমেয়ে বাড়ি ফেরেননি। মহিলার ফোন তার পর থেকে বন্ধ থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর যোগাযোগও করতে পারেননি তাঁর সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। মহিলার দিল্লিবাসী স্বামী খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন।

পুলিশি সূত্রের খবর, প্রলোভন দেখিয়েই ওই মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানকে অমৃতসরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। জেরার মুখে ধৃত সৌমিত্র পুলিশকে জানান, তিনি দীপাদেবী এবং তাঁর ছেলেমেয়েদের অমৃতসরে এক ব্যক্তির কাছে যেতে বলেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে পরে তাঁরও অমৃতসর যাওয়ার কথা ছিল। কেন তিনি তাঁদের ভিন্‌ রাজ্যে পাঠালেন এবং কেনই বা দীপাদেবী সেখানে গেলেন, পুলিশ এখনও তা জানতে পারেনি। ধৃতকে আরও জেরা করা হচ্ছে।

তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, দীপাদেবীর স্বামী দিল্লিতে একাই থাকেন। স্ত্রী-ছেলেমেয়েকে সেখানে নিয়ে যাননি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ২৪ তারিখে ওই মহিলা সন্তানদের স্কুল থেকে নিয়ে সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনে ঢুকছেন। তার আগে তিনি স্কুল থেকে ছেলেমেয়ের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, তার আগের দিন নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকাও তুলেছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, এ-সবই অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি এবং তাই সংশয়াতীত ভাবে বলা যাচ্ছে না যে, এটা অপহরণ। জট ছাড়াতে ধৃতকে আরও জেরা এবং মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

amritsar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy