—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার এক বছর বাদেও কাউকে শাস্তি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষকদের একাংশ। এমনকি এর ফলেই হস্টেলে ছাত্রদের একাংশের দুঃসাহস বাড়ছে বলে তাঁরা মনে করছেন। গত সপ্তাহেই মেন হস্টেলে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়াকে সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরে অনেকেই এই নিয়ে মুখ খুলছেন। এ বার যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল মনোনীত সদস্য মনোজিৎ মণ্ডলওঅভ্যন্তরীণ তদন্তে গত বছরের র্যাগিং-কাণ্ডে দোষী বলে চিহ্নিত ছাত্রদের শাস্তির আর্জি জানালেন।
রবিবার যাদবপুরের এখনকার উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত, সহ-উপচার্য অমিতাভ দত্তদের ইমেল করে মনোজিৎ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগতদের ভর্তির সময়ে তাঁদের মনে আত্মবিশ্বাস জোগাতে এবং বৃহত্তর সমাজে যাদবপুরের ভাবমূর্তি রক্ষায় অবিলম্বে র্যাগিং-কাণ্ডে জড়িতদের সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করুন।’’ শনিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু র্যাগিং-কাণ্ডে কারও শাস্তি না-হওয়ার জন্য যাদবপুরের শিক্ষা প্রশাসন এখনও কার্যত রাজভবনের অঙ্গুলিহেলনে চলছে বলে তোপ দেগেছিলেন।
বাস্তবে যাদবপুরের বর্তমান শিক্ষা প্রশাসন তৃণমূল সরকারেরই ঘনিষ্ঠ বলে মনে করে সারস্বত সমাজের বড় অংশ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত বছরের র্যাগিং-কাণ্ডে পুলিশের খাতায় অভিযুক্তদের বাইরে হস্টেলের আরও অন্তত ২৫-৩০ জন ছাত্র জড়িত বলে যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি নিশ্চিত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের বিষয়টি কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটিতে আটকে। তদন্ত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক ৩১ জুলাই অবসর নেবেন। এর মধ্যে সুরাহা না-হলে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আরও জটিল হবে। নিজস্ব সংবাদদাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy