বিধানসভায় পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র।
রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিল সবই হচ্ছে। করোনা-বিধি মেনে নানা ধরনের মেলাও শুরু হয়ে গেল। তা হলে বিধানসভার অধিবেশন করা যাবে না কেন? বিধানসভা চত্বরে পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী বাম ও কংগ্রেস নেতারা। সরকার পক্ষের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, যথাসময়েই অধিবেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বিধানসভা প্রাঙ্গণে প্রতি বারই বছর শেষে পুষ্প প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা আবহে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, এই নিয়ে নানা সংশয়ে স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটছে। কিন্তু তার মধ্যেই ছন্দ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যেই এ বার পুষ্প প্রদর্শনী অব্যাহত রাখা হচ্ছে। স্পিকারের কথার সূত্র ধরেই ‘সাহসী সিদ্ধান্তের’ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তার পরে তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের ছন্দপতনও আটকাতে হবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল সবই হচ্ছে। কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে প্রতিযোগিতাও চলছে। রাজ্যে গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বিধানসভার অধিবেশন তা হলে কেন বসবে না?’’ মঞ্চে তখন ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁদের উদ্দেশে সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘স্পিকার এবং সরকার পক্ষকে বলব, দিল্লির সরকার যে ভাবে কৃষি এবং কিছু আইন করেছে, তার প্রতিষেধক তৈরী করা আমাদের দরকার। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করতে হবে। বিধানসভার অধিবেশন চাই।’’
ফুলের মেলা হতে পারলে বিধানসভার অধিবেশনও যে অনতিবিলম্বে করতে হবে, সেই দাবি তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রও। পরে প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘এই বিষয়ে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’ অনুষ্ঠানে এ দিন ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজিত বসু এবং মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy