উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চোপড়ায় গুলিতে আহতেরা। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে, টিকিট নিয়ে তৃণমূলের দুই ‘গোষ্ঠীর’ সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল দু’জনের। আহত হন চার জন। সেটা মার্চ মাসের শেষ। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের শেষ দিন, বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলি-বোমায় জখম হলেন সাত জন। কিন্তু কেন বারবার তেতে উঠছে চোপড়া? স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছে মূলত জমির অবৈধ কারবার এবং তা দখলে রাখতে পেশিশক্তির প্রদর্শন। সেই সুবাদেই আকছার গুলি-বোমা চলে।
গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল চোপড়ার লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া, ঘিরনিগাঁও-সহ বিভিন্ন এলাকা। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয়। গুলি চলা, বোমাবাজির জেরে গণনাকেন্দ্রেই ঢুকতে পারা যায়নি বলে দাবি বিরোধীদের। তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, চোপড়া জুড়ে অবৈধ ভাবে বালি তোলা, জমি এবং চা বাগান দখলের কারবার চলছে। চা বাগানের দখল করা জমি প্লট করে বিক্রি করছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তা থেকে আসা কাঁচা টাকা দখলে রাখা নিয়ে এলাকা তেতে থাকে।
মার্চ মাসে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়ির অদূরে, দিঘাবানায় বেধেছিল গন্ডগোল। সেই পরিস্থিতিতে ভোটের মনোনয়ন নিয়েও গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিল বিরোধী শিবিরের।
এ দিন দুপুরে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাম-কংগ্রেসের মিছিল তাক করে গুলি চলে বলে অভিযোগ। হামিদুল অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে, বিরোধীদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরই ওই ঘটনা।’’
সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাসের মন্তব্য, ‘‘চোপড়াতে অপরাধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তৃণমূলের দৌলতে।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেনের দাবি, ‘‘দুর্নীতি কায়েম রাখতেই চোপড়ায় গন্ডগোল জারি রেখেছে শাসক দল।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়কের দাবি, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
কোথা থেকে এলাকায় এত গুলি, বোমা আসছে তা নিয়ে চিন্তিত নাগরিকেরা। তবে পুলিশ সূত্রের দাবি, চোপড়ার গায়েই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, খুব কাছেই নেপাল। বিহারের দুষ্কৃতীদেরও অবাধ প্রবেশ রয়েছে এলাকায়। তারা এলাকায় এসে অপরাধে জড়াচ্ছে।
ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার যশপ্রীত সিংহ বলেন, ‘‘অস্ত্র কোথা থেকে এল, কী ভাবে এমন ঘটনা হল, সে সবের তদন্ত হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy