ছবি: সংগৃহীত।
গরমে রক্তের সঙ্কট মেটাতে করণীয় কী, তা স্থির করতে বৈঠক ডেকেছিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এড্স প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সোসাইটি’। সেখানেই ডোনার কার্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই সূত্রে প্রশ্ন উঠল, দালাল চক্রের খপ্পর থেকে রক্তের মুক্তি কী ভাবে? রক্ত সংগ্রহের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের দেরিতে শিবিরে পৌঁছনো নিয়েও প্রশ্ন উঠল।
বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে ছিলেন মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, সদর হাসপাতাল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। গরমের সময় যাতে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্তের সঙ্কটে না-ভোগে, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে বলেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জয় বনশল। বৈঠকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি জানান, রক্তদানের জন্য যে-কার্ড দেওয়া হয়, তা নিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে দাতা রক্ত পাচ্ছেন না। রক্তের গ্রুপ যা-ই হোক, সটান নতুন ‘ডোনার’ আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে! কিন্তু দালাল চক্রের দৌলতে ‘পিছনের দরজা’ দিয়ে রক্ত পেতে কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না!
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক প্রতিনিধি ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, এ বারেও সরকারের পাশে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা দেরিতে শিবিরে পৌঁছনোয় যে-অসুবিধা হয়, তার কী হবে? ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা দেরিতে শিবিরে পৌঁছনোয় ধৈর্য হারিয়ে রক্তদাতারা চলে যান। এর সুরাহা না-হলে রক্ত সংগ্রহ বাড়বে কী করে? ‘রিফ্রেশমেন্ট চার্জ’ বাড়ানোর দাবিও জানানো হয়েছে। এখন দাতা-পিছু ‘রিফ্রেশমেন্ট চার্জ’ দেওয়া হয় মাত্র ২৫ টাকা! বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বক্তব্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন প্রকল্প অধিকর্তা (পিডি)। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ‘রিফ্রেশমেন্ট চার্জ’ বাড়াতে ন্যাকোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ন্যাকো সাড়া না-দিলে রাজ্য নিজেদের উদ্যোগে তা বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরসভায় ‘বৈষম্য’ বন্ধ হোক, মন্ত্রীকে চিঠি অশোকের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy