Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

উঠল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘হুইট হলিডে’, খুশি চাষিরা

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সবক’টি ব্লকের চাষিরাই এ বছর থেকে ওই এলাকায় গম চাষ করতে পারবেন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোয়ালপোখর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:১৭
Share: Save:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গম চাষে ‘হুইট হলিডে’ উঠে গেল। দু’বছর পর সেখানে চাষ করার ছাড়পত্র পেলেন চাষিরা। এই শীত থেকেই এই লাভজনক ফসলটি চাষ করার সুযোগ পেয়ে খুশি আমিনুর ইসলাম, আব্দুল জলিলের মতো চাষিরা। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাথমিক প্রস্তুতিও।

বাংলাদেশের গমের ফসলে ‘হুইট ব্লাস্ট’ বা ঝলসা রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে এদেশের মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া সীমান্তে প্রথম এই রোগের জন্য দায়ী ছত্রাকের খোঁজ মেলে। উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২২৭ কিলোমিটার জুড়ে। এই এলাকায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। বছর দুয়েক আগে পুরো এলাকাতেই গম চাষে নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয় । এ বার উঠে গেল তা।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সবক’টি ব্লকের চাষিরাই এ বছর থেকে ওই এলাকায় গম চাষ করতে পারবেন। তবে ছাড়পত্র দিলেও এ বারও সীমান্তে নজরদারি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন জানায়, সীমান্ত রক্ষী এবং কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বাংলাদেশ থেকে বীজ এপারে না ঢুকতে পারে। দফতর সূত্রে আরও বলা হয়, গমের পরিবর্তে ওই এলাকায় সর্ষে, ভুট্টা, ডাল শস্য চাষে উৎসাহিত করা হবে।

মাঝে যখন গম চাষ বন্ধ ছিল তখনও অবশ্য ডাল, সর্ষে চাষ হয়। বীজ, মেশিন দিয়ে প্রশাসন সাহায্যও করে, কিন্তু তবু লাভ হয়নি বলেই জানালেন চাষিরা। তাঁদের কথায়, অভিজ্ঞতা না থাকাতেই লাভ হয়নি।

তবে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, গম চাষে সংক্রমণের ভয় পুরোপুরি নির্মূল করার জন্যই ফের এই ধরনের শস্য চাষের কথা বলা হচ্ছে। তবে কাউকে চাষে বাধাও দেওয়া হবে না বলেও জানান তাঁরা। যদিও চাষিদের দাবি, গম চাষেই লাভ বেশি। গোয়ালপোখরের আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘‘গত দু’বছরে চাষ বন্ধ থাকায় এমনিতেই লোকসান হয়েছিল। ডাল শস্য চাষের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। তাই তাতে লাভ পাওয়া যায়নি। আর ডাল ভাঙানোর যে মেশিন কৃষি দফতর দিয়েছিল তা কাজে আসেনি। এ বছর গম চাষ করতে না পারলে লোকসান হবে।’’ করণদিঘির চাষি আব্দুল জলিল জানান, এ বার গমের ফলন ভাল হলে সেই ধাক্কা সামলানো যাবে। তবে কৃষকেরা জানাচ্ছেন, লাভজনক হলেও এ বার গম চাষ করতে সমস্যা হবে। কারণ দু’বছর চাষ না হওয়ায় কারও ঘরেই গমের বীজ নেই।

কৃষকেরা জানালেন, এ বারে গমের বীজ কিনতে হবে। সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জেলায় গম বোনা হয়। প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

কৃষি দফতরের রাজ্যে ডেপুটি ডিরেক্টর মির ফারহাত বলেন, ‘‘এ বার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। চাষিরা চাইলে এ বার গম চাষ করতে পারবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Wheat গম Wheat Holiday India Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE