রবিবার তৃণমূল ভবন নির্মাণের ভূমিপুজো হয় উত্তর পঞ্চান্ন গ্রাম এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
নতুন তৃণমূল কী? সেই রহস্যের উন্মোচন করলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা-ও আবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই। রবিবার তৃণমূল ভবন নির্মাণের ভূমিপুজো হয় উত্তর পঞ্চান্ন গ্রাম এলাকায়। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি গত জুন মাসে জলপাইগুড়ির একটি সভায় বলেছিলাম নতুন তৃণমূল। সেই নতুন তৃণমূল কী? সবাই জানতে চেয়েছিল। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তৃণমূল বরদাস্ত করবে না। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বার করে দেব। এটাই নতুন তৃণমূল।’’
গত বছর মে মাসে দক্ষিণ কলকাতা এলাকায় নতুন তৃণমূল বলে ব্যানার, হোর্ডিং লাগানো হয়। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছিল। তার পর সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বয়ং। জলপাইগুড়ির সভার পরেও বেশ কিছু জনসভায় তাঁকে নতুন তৃণমূলের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। রবিবার নিজের সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেছেন, ‘‘কেউ যদি ভেবে থাকে তৃণমূল করে দলকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি করে প্রশ্রয় পাওয়া যাবে তা হলে তা ভুল হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, দুর্নীতি করে কেউ দলে থাকতে পারবেন না।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এসকে সেলিম আলিকে সরানোর নির্দেশ দেন তিনি। রবিবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায়কে সরানো হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর কাঁথির প্রভাতকুমার রায় কলেজের মাঠে জনসভায় যোগ দিতে আসার আগেই মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে সেখানকার স্থানীয় জনতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক। স্থানীয় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিস্তর অভাব-অভিযোগ জানান তাঁকে। তার পরেই দলীয় জনসভার মঞ্চে উঠেই মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। নদিয়ার জনসভাতেও নাম করে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফা দেওয়া নির্দেশ দেন অভিষেক। এ ভাবেই আগামী দিনেও দুর্নীতি করলে যে তৃণমূল নেতৃত্ব কঠোর অবস্থান নেবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy