দিল্লির উদ্দেশে সড়কপথে রওনার প্রস্তুতি তৃণমূলের। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা থেকে দিল্লি। তা-ও আবার সড়কপথে। দূরত্বটা নেহাৎ কম নয়। যাতায়াত মিলিয়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু এত দূরের পথ যেতে-আসতে যাতে কারও কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে দিকটা নজর রাখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০টি বাসে করে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের জনপ্রতিনিধি এবং একশো দিনের ‘জব কার্ড হোল্ডার’দের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
নেতাজি ইন্ডোর থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম বাসটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকি বাসগুলিও ছাড়ার প্রক্রিয়া চলবে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এই সফরের সম্ভাব্য পথ আসানসোল, ধানবাদ, বারাণসী এবং আগরা হয়ে দিল্লি। ফলে সড়কপথের এই দীর্ঘ সফরে বাসযাত্রীদের সব রকম সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। এই বিশাল দূরত্বের পথ যাতায়াতে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
তবে বাসেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে দিল্লি পৌঁছতে পারেন, সেই মতো ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে বাসগুলিকে প্রয়োজন মতো রাস্তায় কয়েক বার দাঁড় করানোও হতে পারে। বাসযাত্রীদের খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। শুধু বাসযাত্রীই নন, বাসচালকদের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দীর্ঘ পথ যেতে এক জন বাসচালকের উপর যাতে চাপ না পড়ে, তাই তাঁদের সাহায্য করতে প্রতিটি বাসে দু’জন করে চালকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাসে কোনও রকম অসুবিধা হলে দলের স্বেচ্ছাসেবকদের বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জানানো যাবে। তাঁদের ফোন নম্বরও থাকছে বাসগুলিতে।
দলীয় সূত্রে খবর, স্লিপার ক্লাস বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি বাসের ভাড়া দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। আগামী ৬ অক্টোবর আবার কলকাতায় ওই বাসগুলি করেই একশো দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের ফিরিয়ে আনা হবে। দলীয় সূত্রের খবর, বাসে করে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থির হতেই পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বেসরকারি বাস মালিকদের ফোন করেন বাস ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি জানান। কিন্তু বাস মালিকেরা জানান যে, এত দূর যাওয়ার জন্য বাসের পারমিট নেই। তবে তাঁরা অন্য বিকল্প বাসের ব্যবস্থাও করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে দিল্লি যাত্রার জন্য গোটা ট্রেন ভাড়া করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। জমা দেওয়া হয়েছিল রেলের ঠিক করে দেওয়া ভাড়া এবং সিকিউরিটি ডিপোজ়িটও। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। রেলের তরফে দাবি করা হয়, তৃণমূল ট্রেন চেয়েছিল আইআরসিটিসির কাছে। সেই আবেদনের কথা জানার পরে চেষ্টা করেও ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়নি। শুক্রবারেই অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন অভিষেক। এখানেই ছিলেন তৃণমূলের দিল্লি কর্মসূচিতে যোগদানকারী বাংলার ‘জব কার্ড হোল্ডার’রা। প্রাপ্য টাকার দাবিতে তাঁদের নিয়েই আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি করার কথা তৃণমূলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy