দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক বিরোধের মধ্যেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংঘাতের আবহেই শহরে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পদ্ম-শিবিরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুক্রবার রাতে কলকাতায় পৌঁছে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির দফতরে বৈঠক করবেন তিনি। দিলীপ এবং শুভেন্দুর পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং ৫ সাধারণ সম্পাদককে ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।
শাহের এ বারের সফরের মূল কর্মসূচি, শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল পরিষদের (ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল) বৈঠক। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে গত ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকে পৌরোহিত্য করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। এ বার সেই সরকারি বৈঠকে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কিন্তু দিলীপ-শুভেন্দু বিরোধের মধ্যে শাহের কলকাতা সফর এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘অন্য’ মাত্রা পেয়েছে। বিজেপির ওই সূত্রটি জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সুকান্তকে ফোনে জানানো হয় রাত ৯টায় বৈঠক করবেন শাহ। শুভেন্দু, দিলীপ, সুকান্ত ছাড়াও রাজ্য বিজেপির ৫ সাধারণ সম্পাদক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং দীপক বর্মনকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম বার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বৈঠক করবেন শাহ।
বস্তুত, দিলীপ-শুভেন্দু বিরোধ মেটাতে বৃহস্পতিবার থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পোর্ট ট্রাস্টের একটি অতিথিশালায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে ‘ডিসেম্বর’ তরজা— একাধিক বিষয়ে দিলীপের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দুকে। হাজরার সভা থেকে শুভেন্দুও প্রাতর্ভ্রমণ নিয়ে নাম না করে দিলীপকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে পাল্টা ‘সকালে ওঠার দমে’র কথা বলেছিলেন দিলীপ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও বৃহস্পতিবার সকালে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “পুলিশের উপরে ভরসা করে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা ঠিক নয়। আরও প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল। এ রাজ্যের মানুষ কিছু পাবে শুনলে দৌড়ায়। লক্ষ্মীর ভান্ডারেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দান-খয়রাতি মানবতার অপমান। কিছু পাওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষকে টেনে আনা আমি সমর্থন করি না। গরিবকে সাহায্য করার অন্য নানা রকম উপায় আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy