ফাইল চিত্র।
এখনই রাজ্যের ১৭টি পুরসভায় ভোট করানো যেতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রায় ১১০টি পুরসভায়। এই অবস্থায় অন্তত বিভিন্ন দফতর ও পুরসভায় এক হাজার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার। কোথাও স্থায়ী ভাবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে লোক নেওয়া হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়োগের এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি নিয়োগ হবে পরিবহণ দফতরে। সেখানে অন্তত ৫০০ চালক এবং অন্তত ৪০০ জন কনডাক্টর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনও নিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে সকলকেই নেওয়া হবে চুক্তির ভিত্তিতে। নিয়োগ সংস্থা বাছাইয়ের জন্য পৃথক ভাবে টেন্ডার বা দরপত্র ডাকবে রাজ্য সরকার। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘নিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে পরিবহণ দফতরে আগেও লোক নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যে-হেতু খরচের বিষয়টি যুক্ত, তাই প্রস্তাবটি পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়।’’
এ ছাড়া কলকাতা, পাঁশকুড়া, নবদ্বীপ ও দুর্গাপুর পুরসভায় কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার এ দিনের বৈঠকে। ওই সব পুরসভায় কমবেশি ১৬০ জনকে নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। ওই পদগুলিতে অবশ্য স্থায়ী নিয়োগ হবে বলেই সরকারি সূত্রের দাবি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, বিভিন্ন পুরসভার শূন্য পদেই এই ধরনের কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। ওই সব ক্ষেত্রে আপাতত নতুন কোনও পদ তৈরি করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘খোঁজ’ নেই উপপ্রধানের, ভয়ে শিক্ষিকা
নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের পাশাপাশি নিজের নিজের জেলার স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার এ দিনের বৈঠকে পাশ হয়েছে। সরস্বতী পুজোর আগে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকে দূরের স্কুলে গিয়ে পড়ান। যাতায়াতেই তাঁদের অনেকটা সময় চলে যায়। ফলে পড়ানোর ক্ষেত্রে এবং পরিবার প্রতিপালনে তাঁদের অনেক সমস্যা হয়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যিনি যে-জেলায় থাকেন, তাঁকে সেই জেলাতেই পোস্টিং দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীকে এই কাজ করার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: হুঁশিয়ারি, তবু উন্মুক্ত শৌচ মুক্তিতে হোঁচট
রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার। বাজেট অধিবেশনের শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। প্রথামাফিক এ দিন সেই ভাষণ মন্ত্রিগোষ্ঠীর সম্মতির জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হয়েছিল। এ বার সেটি পাঠানো হবে রাজভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy