বেঁচে যাওয়া অর্থের কারণেই এই অন্তর্ভুক্তি। —প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের আবাস প্রকল্পে অনুমোদিত তালিকার ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। এই অবস্থায় নতুন প্রায় এক লক্ষ উপভোক্তাকে এই বৃত্তে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আপাতত আটটি জেলার জন্য অতিরিক্ত এই উপভোক্তাদের সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, ‘কঠোর’ যাচাইয়ের পরেও টাকা পাঠানোর আগে শেষ মুহূর্তে পুনর্যাচাই হচ্ছে। তাতে কিছু সংখ্যক করে উপভোক্তা বাদও যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। বেঁচে যাওয়া অর্থের কারণেই এই অন্তর্ভুক্তি। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, যে আটটি জেলাকে (সবিস্তার সারণিতে) বাছা হয়েছে সেগুলি রাজনৈতিক সমীকরণের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না আসায় ডিসেম্বর থেকে আবাস উপভোক্তাদের (১১ লক্ষ এবং অতিরিক্ত আরও এক লক্ষ, যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে প্রাকৃতিক কোনও বিপর্যয়ে) বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির (৬০ হাজার টাকা করে) বরাদ্দ নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য। লোকসভা ভোটের আগে এই প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, আবাস (প্লাস) প্রকল্পের তালিকায় (যার পোশাকি নাম পার্মানেন্ট ওয়েট লিস্ট বা পিডব্লিউএল) মোট প্রায় ২৮ লক্ষ উপভোক্তার নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে ১১ লক্ষ উপভোক্তার তালিকাকে ২০২২ সালের নভেম্বরে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। বাকি প্রায় ১৭ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে থেকে এই নতুন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “উপভোক্তাদের সংখ্যায় যে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করার জন্যই পিডব্লিউএল থেকে কিছু উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোট সংখ্যাটা যাতে ১২ লক্ষই থেকে যায়, যা রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল।”
প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, “উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগের মুহূর্তে ফের এক বার যাচাই হচ্ছে। তাতে সন্দেহজনক কিছু থাকলে তৎক্ষণাৎ তা থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার টাকা পাঠানোর পরে কোনও উপভোক্তাকে ‘অযোগ্য’ বলে জানা গেলে, তাঁর থেকে অর্থ ফিরিয়েও নিচ্ছে সরকার। প্রতিটি জেলায় এ ভাবে অনেক অর্থ বেঁচে যাচ্ছে। সম্ভবত তা কাজে লাগানোর জন্য নতুন উপভোক্তাদের যুক্ত করা হচ্ছে।”
গত ১৭ ডিসেম্বর আবাসের টাকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, এসডিও, বিডিও, ওসি-আইসি সকলের নজরদারিতে আবাসের তালিকা পুনর্যাচাই হয়েছে। তার পরে সাধারণের মতামত নিয়ে সেই তালিকা জনসমক্ষে আনাও হয়েছিল। মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন।....যাঁরা এই দফায় পাননি, তাঁরা দুঃখ করবেন না, কেন্দ্র টাকা না দিলে তাঁদেরও দুটো কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলব।” তাঁর ঘোষণা ছিল, বাকি থাকা উপভোক্তাদের অর্ধেককে এ আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে এবং বাকি অর্ধেককে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে টাকা দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy