প্রতীকী চিত্র।
মদ কেনার সময় ক্যাশ মেমো দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতাই তা নেন না। আবার দোকানদাররাও অনেক সময়ে দিতে চান না। এ বার সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নতুন পথ নিচ্ছে রাজ্য আবগারি দফতর। এখন থেকে রাজ্যের সর্বত্র সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত খুচরো মদের দোকানে যাতে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) বসানো হয় তার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে নবান্ন। ঠিক হয়েছে, পিওএস পরিষেবা দিতে পারে এমন সংস্থার একটি প্যানেল তৈরি করে দেবে রাজ্য আবগারি দফতর। সেখান থেকে যে কোনও সংস্থাকে নিজের দোকানের জন্য বেছে নিয়ে নিয়োগ করতে পারবেন খুচরো বিক্রেতারা। যে সব সংস্থা মদের ব্যবসায় পিওএস পরিষেবা দিতে চায় তাদের কাছে দরপত্রও চেয়েছে আবগারি দফতর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে শর্ত মেনে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আবগারি দফতরের এক কর্তা জানান, এখন অনেক ক্রেতাই কার্ডের মাধ্যমে মদ কেনেন। কিন্তু রাজ্যের অনেক দোকানেই সেই ব্যবস্থা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিক্রেতারা চাইলেও ঠিকঠাক পিওএস পরিষেবা দিতে পারে এমন সংস্থার খোঁজ পান না। এ বার সেই খুঁজে দেওয়ার কাজটাই সরকারি উদ্যোগে করে দেওয়া হবে। এর জন্য আবেদনকারী সংস্থাগুলিকে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ১০০ নম্বরের সেই পরীক্ষায় পাশ করতে নূন্যতম ৫০ পেতে হবে। কী ভাবে অবেদন করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় শর্ত মানা হচ্ছে কি না এবং এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এই তিন বিষয়ে যথাক্রমে ৫০, ৪০ ও ১০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হবে। যোগ্যদের নিয়ে তৈরি হবে প্যানেল। সেখানে জায়গা পাওয়া সংস্থাকে যে কোনও খুচরো বিক্রেতা নিয়োগ করতে পারবেন। আবগারি দফতরের ওই কর্তার বক্তব্য, ‘‘সর্বত্র যাতে একই গুণমান বজায় থাকে তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে আবগারি দফতর চাইছে রাজ্যের সব জায়গায় ক্রেতাদের যে ক্যশ মেমো দেওয়া হবে এবং তা যেন একই রকম হয়।’’
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু মদের দোকান নয়, পানশালার ক্ষেত্রেও প্যানেলভূক্ত সংস্থা থেকে বেছে নিয়োগ করা যাবে। দরপত্র চাওয়ার সময়ে বলে দেওয়া হয়েছে মদ বিক্রির প্রতিটি ক্যাশ মেমোয় দোকানের নাম, বিক্রির তারিখ, সময়, মদের ব্র্যান্ডের নাম, পরিমাণ এবং মোট দামের উল্লেখ থাকতে হবে। আবার যদি কোনও পানশালার রসিদ হয় তবে সেখানে বাকি তথ্য একই রকম হলেও মদের পরিমাণ মিলিলিটার, পেগ ও গ্লাসের হিসেবে দেখাতে হবে। সেই সঙ্গে পিওএস ব্যবস্থার মধ্যে কমপক্ষে তিন মাসের তথ্য মজুত থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে ওই সময়ের মধ্যে যে কোনও দিনের বিক্রির বিস্তারিত তথ্য চাইলেই পাওয়া যায়। রাজ্য আবগারি দফতর যে ভাবে রিপোর্ট চায় সে ভাবে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে যাবতীয় তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে আবেদনকারী সংস্থাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy