প্রতীকী ছবি।
জনপদে বেপরোয়া অটো, বাইকের দৌরাত্ম্যের জেরে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা বাধছে। জাতীয় সড়কে যাত্রিবাহী বাসের গতিই চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য পুলিশকে। বেসরকারি বাস তো বটেই, দূরপাল্লার সরকারি বাসের গতি নিয়েও রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা সবিশেষ চিন্তিত। এতটাই যে, দূরপাল্লার বাসের গতিতে কী ভাবে অবিলম্বে রাশ টানা যায়, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করছেন তাঁরা।
রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রতিটি বাসে গতি নথিভুক্ত করার যন্ত্র বা ‘ডেটা রেকর্ডার’ বসানোর কথা চলছে। বাস কোথায়, কত গতিতে চলছে, ওই যন্ত্রে সেটা নথিভুক্ত হবে। সেই নথি দেখেই পরে কালে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে সরকারি বাসের লাগাম দেওয়ার উদ্যোগ চলছে। কারণ, সরকারি যানবাহন যদি নিয়ম না-মানে, বেসরকারি বাসকে নিয়ম মানতে বাধ্য করানো মুশকিল। নিয়ম ভাঙলে চালকের জরিমানার বন্দোবস্ত তো থাকছেই। সাময়িক ভাবে লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। ঠিক কী কী শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করা হবে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে।
এক ট্র্যাফিক-কর্তার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সড়কে যাত্রিবাহী গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে জেলাশাসকেরা নির্দেশিকা জারি করে তাঁদের এলাকায় যানবাহনের গতির মাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারেন। কিন্তু এ রাজ্যে জাতীয় সড়কে নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে অনেক বেশি গতিতে ছুটছে সরকারি ও বেসরকারি বাস।
সম্প্রতি বর্ধমান থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসতে সরকারি বাসে ওঠেন এক যাত্রী। তাঁর অভিজ্ঞতা, বর্ধমান থেকে সওয়া দু’ঘণ্টায় তিনি পৌঁছন বিমানবন্দরের সামনে। জাতীয় সড়কে বাসের গতি দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল তাঁর। যাত্রীদের অনেকে বলছেন, গতি বেশি থাকায় উত্তরবঙ্গমুখী বাসগুলি তুলনামূলক কম সময়ে শিলিগুড়ি পৌঁছে দেয়। পুলিশের বক্তব্য, কম সময়ে পৌঁছতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে, ঘটছেও। বাসের পাশাপাশি লরিতেও লাগাম পরাতে চাইছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy