রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র।
সরকারি ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও, প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, সংশ্লিষ্ট সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা, পুরসভা, স্কুল, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের থেকে ভোটকর্মী বাছা যেতে পারে। ভোটকর্মীদের দলে যাতে অন্তত একজন কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কর্মী থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভোটকর্মীদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনগুলি। তবে কবে এবং ক’দফায় ভোট হবে, তা নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে।
কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র নিয়ে চূড়ান্ত আদেশ প্রকাশ হওয়ার কথা ২৮ এপ্রিল। বিধি অনুযায়ী, তার ১২ দিনের মধ্যে ভোট করানো সম্ভব নয়। সেই হিসাবে ১০ মে-র আগে ভোটের সম্ভাবনা কার্যত নেই। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাধারণত ২১-৩৫ দিনের (সরকারি ছুটির দিন বাদে) মধ্যে ভোট করানো যেতে পারে। তাই প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে হতে পারে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। কমিশনের এক কর্তার কথায়, “নিয়ম অনুয়ায়ী, কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে রাজ্য। তার ভিত্তিতে কমিশন ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।” একটি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ইতিমধ্যে ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।”
তবে পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে মে মাসের তীব্র গরম। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছোবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা আছে। সরকারি ভাবে সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত না থাকলেও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক মহলের বক্তব্য, তীব্র গরম ভোটকর্মী, ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমস্যায় ফেলবে। প্রসঙ্গত, অতীতে রাজ্যই চেয়েছিল শীতে ভোট হোক। তবে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা তো নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তা ছাড়া ভোট কবে হবে, তা তো দল হিসেবে তৃণমূল ঠিক করবে না। যখনই হোক, আমরা প্রস্তুত।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এক দফায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটকর্মী লাগতে পারে। তা নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা নেই। তবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পর্যবেক্ষক মহলের যুক্তি, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৩৪০টি। ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যায় না। তাই প্রতি ভোট কেন্দ্রে দু’জন করেও পুলিশ মোতায়েন করতে হলে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার পুলিশকর্মী প্রয়োজন। তা ছাড়াও, নাকা তল্লাশি, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল নিরাপত্তা বাহিনী, স্ট্রং-রুম নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানাগুলিও খালি করা যাবে না। তাই অত পুলিশকর্মী মিলবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল, প্রয়োজনে ভিন্ রাজ্যের পুলিশ এনে ভোট করানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy