Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Municipal Election 2020

দোলের পর ভোটের দিন ঘোষণা, গোলমাল বরদাস্ত নয়, জেলাশাসকদের বার্তা কমিশনের

জল্পনা শুরু হয়েছে, এ বার পুরভোট ব্যালটেই হবে।সময় যত এগোচ্ছে, ততই ব্যালটের দিকে পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। —ফাইল চিত্র

রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ২০:১১
Share: Save:

দোলের পরেই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে কলকাতা-হাওড়ায় ভোট। বাকি পুরসভাগুলিতে তার পরেই নির্বাচনের সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

এ দিন জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস-সহ অন্য অধিকারিকেরা। সেখানে ভোট পরিচালনা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। ওই বৈঠকের পরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, রাজ্যের পুর ভোট এপ্রিলেই শুরু হতে চলেছে। তবে ব্যালট না কি ইভিএম— কিসে ভোট হবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই ওই সূত্রের খবর। ভোট ব্যালট বা ইভিএম যাতেই হোক না কেন, জেলাশাসকদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

এখনও পর্যন্ত ইভিএম-এ ভোট করানোর পক্ষে রয়েছে কমিশন। রাজ্যেরও তাতে কোনও সমস্যা নেই বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালটের পক্ষে সওয়ালের পর, জল্পনা শুরু হয়েছে, এ বার পুরভোট ব্যালটেই হবে।সময় যত এগোচ্ছে, ততই ব্যালটের দিকে পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্যের মত জানতে ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে নবান্নকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।কিন্তু, এখনও রাজ্যের তরফে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, “রাজ্য যদি চায় ব্যালটে ভোট হবে।আমরা তৈরি রয়েছি। আবার যদি ইভিএম-এ চায়, তাতেও কোনও অসুবিধা হবে না।”

আরও পড়ুন: করোনা-সাবধানতা: রাষ্ট্রপতি ভবনে বাতিল এ বছরের হোলি উৎসব​

আরও পড়ুন: ঘৃণা-মন্তব্যে এত সময় দেওয়া ‘অনুচিত’, শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টকে শুনানির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের​

এ দিন সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে তলব করা হয়েছিল সমস্ত জেলাশাসকে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। গোলমালের আশঙ্কার বিষয়টি আলোচনায় সব থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। প্রাক্‌ নির্বাচনী পর্যায়ে জেলার কোনও জায়গায় যদি সংঘর্ষ হয়, সে পরিস্থিতিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। নির্বাচনের দিন বা নির্বাচনের আগে-পরে কোনও ঘটনা ঘটলে, তা জেলাশাসক এবং পুলিশকে কড়া হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পরএ বার পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও দ্রুত বৈঠকে বসতে চায় কমিশন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE