বিকেলে প্রার্থী ঘোষণার সময় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নবীন ও প্রবীণের ভারসাম্য রেখেই প্রার্থিতালিকা তৈরি হয়েছে।
পুরভোটের প্রার্থিতালিকা বদল করল তৃণমূল। নতুন তালিকা পাঠানো হল জেলা সভাপতিদের। নতুন তালিকায় সই করেছেন সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগের তালিকার সঙ্গে ২০ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার ভোটে শুক্রবার বিকেল নাগাদ প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নবীন ও প্রবীণের ভারসাম্য রেখে প্রার্থিতালিকা তৈরি হয়েছে। তবে কোনও বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাাই নয়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলছে তৃণমূল। পাশাপাশি, পরিবারতন্ত্রের উপরেও রাশ টেনেছে তারা।
কিন্তু প্রার্থিতালিকায় ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি এবং পরিবারতন্ত্রে রাশ টানার বিষয়টিতে বেশ কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। সেই তালিকায় মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাসকে। প্রসঙ্গত, এর আগে দুলাল ওই পুরসভারই ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতেন। এ বার তাঁকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বীরভূমের বোলপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্রশিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের স্ত্রী কুন্তলা সিংহকে। গত পুরভোটেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। আবার রামপুরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে দম্পতি সৌমেন ভগৎ এবং মীনাক্ষী ভগৎ-কে। যা নিয়েও বিতর্ক হয়।
এই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার মাঝেই আবহে তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এই তালিকা বদলাতে পারে। বস্তুত, যে তালিকা শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকাটি নাকি ‘চূড়ান্ত’ নয়।তাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছিল না। দলের এক নেতার দাবি, ‘‘ভুল তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই তালিকা বদলানোর সম্ভবনা প্রবল।’’
শাসকদলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য টিকিট না পাওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১৩ ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়েও।বহরমপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অপছন্দ হওয়ায় বহরমপুর জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। বর্ধমান শহরের ২, ১৯ এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডেও কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। প্রার্থী ঘোষণার পর সন্ধ্যা থেকেই মালবাজার শহরের সত্যনারায়ন মোড়ে পার্টি অফিসের সামনে জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরা। প্রার্থী বদলের দাবিতে কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকাতেও জোড়াফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান।
এর পরেই শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ তৃণমূল সূত্রে জানা গেল, পুরভোটে দলের প্রার্থিতালিকায় বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। নয়া তালিকা ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার, জেলা সভাপতিদের পাঠানো নয়া তালিকায় কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy