ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে লকডাউন। সভা সমিতি বা কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সম্ভব নয়। তাই রাজ্যে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের দায়িত্ব পড়ল পুলিশের উপর। বৃহস্পতিবার এই মর্মেই কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের কমিশনারদের নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হল। শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে কবি প্রণাম। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পালন করা হবে এই অনুষ্ঠান। কবি প্রণামকে সামনে রেখে চলবে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও। রবীন্দ্র সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে বাজবে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা করোনা সচেতনতার গান।
রাজ্যের এডিজি(আইন শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ লিখিত ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত থানা এলাকায় পুলিশ ছোট ট্যাবলো বার করবে। সেই ট্যাবলোতে লেখা থাকবে কবি প্রণাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাটআউট। ট্যাবলোতে লাগানো মাইকে বাজবে রবীন্দ্র সঙ্গীত। কোন কোন রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো হবে তার তালিকাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। জ্ঞানবন্ত সিংহের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কবির গানের সঙ্গে সঙ্গে বাজানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা করোনা প্রতিরোধের সচেতনতা মূলক গানটিও। প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূ্র্ণ বসতি এলাকা, হাউসিং কমপ্লেক্সের সামনে এই ট্যাবলো প্রচার চালাবে।
শুধু তাই নয়, পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যাঁরা গান গাইতে পারেন তাঁরাও অংশ নেবেন এই কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে। তবে সবটাই করতে হবে প্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা বিধি মেনে। ট্যাবলো থেকেই মাইকে করোনা নিয়ে কী করা উচিৎ এবং কী করা উচিৎ নয় তা-ও প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: আটকে পড়াদের জন্য ই-পাস রাজ্যের, আবেদন কী ভাবে জেনে নিন
নবান্নের কোনও কর্তা এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ না করলেও তাঁদের ইঙ্গিত, লকডাউনের জন্য যাতে রবীন্দ্রনাথের জন্ম জয়ন্তী কোনও ভাবে অবহেলিত না হয় তার জন্য এই আয়োজন। সেই সঙ্গে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই থাকবে করোনা নিয়ে প্রচার। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘ লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এই প্রয়াস তার মধ্যে নতুনত্ব আনবে। মানসিক ভাবে চাঙ্গা করবে মানুষকে।”
আরও পড়ুন: প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত কী ভাবে? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন রাজ্যপাল
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ৯টার সময় তিনটি ট্যাবলো বেরোবে শহরে। গোটা শহর পরিক্রমা করবে সেই ট্যাবলো। এর পাশাপাশি থানা থেকে আলাদা আয়োজন থাকতে পারে। বসতি এলাকায় রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের লাগানো মাইকেও বাজানো হতে পারে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং চলতে পারে সচেতনতা মূলক প্রচার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy