প্রতীকী ছবি।
করোনা-কবলিত দেশে লকডাউনের মধ্যেও অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্যের সঙ্গে ওষুধের উৎপাদন, পরিবহণ ও কেনাবেচায় ছাড় আছে। কিন্তু অভাব দেখা দিচ্ছে মরফিনের। ফলে বিপাকে পড়ছেন ক্যানসার রোগীরা। জরুরি পরিষেবার আওতায় থাকায় রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
এমনিতেই চাহিদার তুলনায় বাজারে মরফিন ওষুধের জোগান কিছুটা কম থাকে। কলকাতায় গুটিকয়েক ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা তা সরবরাহ করে। সাধারণ ওষুধের দোকানে মরফিন পাওয়া যায় না। মরফিন ব্যবসায়ীরা জানান, মার্চে আবগারি দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সের নবীকরণ করা হয়। তার পরেই এপ্রিল থেকে সরবরাহকারী সংস্থাগুলিতে ফের এই ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সময়মতো লাইসেন্স নবীকরণ হয়নি। তাই ওই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সেই জন্যই সমস্যায় পড়েছেন ক্যানসার রোগীরা।
এক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, “মরফিনের সঙ্কট এখনও প্রবল আকার ধারণ করেনি। কিন্তু সপ্তাহখানেকের মধ্যে ওই ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক না-হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। তখন ক্যানসার রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে। “আবগারি দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, বিশেষ নির্দেশে মরফিনের লাইসেন্স নবীকরণ করলেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে। শহর কলকাতার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বিভিন্ন জেলাশাসক বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, এই নিয়ে সমস্যা হলে লিখিত ভাবে তা মুখ্যসচিবকে জানালে সরকার ব্যবস্থা করবে। এমনিতে অধিকাংশ ওষুধ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলি অমিল, সেগুলিও যাতে পাওয়া যায়, রাজ্য সরকার সেটা দেখবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy