মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল জুনিয়র চিকিৎসকদের। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ফের ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফ থেকে একটি ইমেল করা হয়েছে মুখ্যসচিবকে। ইমেলে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির পরিষেবার উন্নতিসাধনে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইমেলে লেখা হয়েছে, “মাননীয় মুখ্যসচিব আপনি সম্ভবত ঘূর্ণিঝড় 'ডেনা'-র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে ব্যস্ত আছেন। আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। ২১ অক্টোবরের আলোচনার ভিত্তিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমরা লিখতে বাধ্য হচ্ছি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে আমাদের মনে হয়েছে।”
পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, “আমরা যে পরামর্শগুলি দিচ্ছি সেগুলিকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসাবে দেখা উচিত, নিছক সুপারিশ নয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নতি করতে যা অপরিহার্য।”
মোট ছ’টি বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল—
১। কেন্দ্রীয় ভাবে সব সরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার নজরদারি শুরু করতে হবে। রাজ্য সরকার পাইলট প্রজেক্ট শুরু করলেও তা নিয়ে খুশ নন ডাক্তারেরা। খালি শয্যার উপর নজরদারি ঠিক না হলে ‘রেফারেল’ পদ্ধতি কাজ করবে না। এক মাসের মধ্যে সেই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২। দুর্নীতি রোধ করতে এবং হুমকি সংস্কৃতি বন্ধ করতে প্রতি ঘণ্টায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার সংখ্যা জানাতে হবে। হাসপাতালের কার্যকলাপ মসৃণ ভাবে চালাতে এবং রোগীর কল্যাণে এই ব্যবস্থা আবশ্যিক।
৩। হাসপাতালগুলির ধারণ ক্ষমতা কেমন সেই নিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারকে মূল্যায়ন করতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ করতে হবে।
৪। কেন্দ্রীয় ‘রেফারেল’ পদ্ধতি (সিআরএস)-র খামতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। সিআরএস দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক, রেফার করা হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে কি না। দুই, রেফার করা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন তা ওই হাসপাতালে রয়েছে কি না। ডাক্তারদের পরামর্শ, রেফার করা হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা আছে কি না, জানলেই হবে না। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ওই চিকিৎসার পরিকাঠামো আছে কি না, সেটাও সিস্টেমে থাকতে হবে। কোনও রোগীকে রেফার করা হলে এই উভয় শর্তই পূরণ করতে হবে। কোনও একটির খামতি থাকলে রোগীর জন্য বিকল্প পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। কেন্দ্রীয় ‘রেফারেল’ পদ্ধতি পরিচালনার জন্য ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে হবে।
৬। রেফার করা হাসপাতালে কোনও পরিষেবা উপলব্ধ না হলে কোথায় সেই পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য বোর্ড টাঙাতে হবে। এর ফলে রোগীর পরিবার বিভ্রান্তি এড়াতে পারবেন।
ইমেলের শেষে লেখা হয়েছে এই ব্যবস্থাগুলি ঐচ্ছিক নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঠিক কার্যকারিতার জন্য বাধ্যতামূলক। মুখ্যসচিবকে টাস্ক ফোর্স এবং উপরোল্লিখিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy