রাজ্য পুলিশের পর, ‘পাগড়ি’ বিতর্ক নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দফতর। রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে তিনটি টুইট করা হয়েছে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।
টুইটে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘একটি রাজনৈতিক দল গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর চেষ্টা করছে, তাঁদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।” সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র দফতর তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পুলিশ আইন মেনে কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চার ডাকা নবান্ন অভিযানে হাওড়া ময়দান এলাকায় বলবিন্দর সিংহ নামে এক শিখ যুবককে আটক করে পুলিশ। জমায়েতে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিলেন। পুলিশের দাবি, তাঁকে আটক করতে গেলে তিনি বাধা দেন এবং সেই সময় তাঁর পাগড়ি খুলে যায়। বলবিন্দরের পাগড়ি খোলা অবস্থার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। তা দেখে প্রাক্তণ ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংহ থেকে শুরু করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ, শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবিন্দর সিংহ বাদল সহ অনেকেই অভিযোগ করেন শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে ওই ঘটনায়। এর পর থেকেই বলবিন্দরের পাগড়ি নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। শুক্রবার রাতেই রাজ্য পুলিশ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট করে জানায় যে পুলিশ কোনও ভাবে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেনি। পুলিশ ওই ব্যক্তির পাগড়ি খুলেও দেয় নি। যা হয়েছে তা ধস্তাধস্তিতে।
Our Sikh brothers and sisters live here in West Bengal in perfect peace and harmony, in happiness and tranquility, with respect from all of us for their faith and practices. A recent incident when one isolated individual got caught with..(1/3)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020
One political party is giving communal colour to the subject in narrow partisan interest in a manner that Bengal does not believe in. Policing was done as per law, but highest respect for the Sikh panth and ways from GOWB is affirmed.(3/3)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020
আরও পড়ুন: জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তো আমার নিজের পাগড়িও খুলে গিয়েছে অনেক বার
তারপরও বিতর্ক থামেনি। সূত্রের খবর, দিল্লির গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি ঘটনার তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছে নবান্নকে। রবিবার সেই বিতর্কে টুইট করে পুলিশের পাশে দাঁড়াল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। একটি রাজনৈতিক দলকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি, টুইটে বলা হয়েছে, বেআইনি ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরা এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার ঘটনাকে অপব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দফতর তাঁদের টুইটে জানিয়েছে, রাজ্যে শিখ ভাইবোনেরা শান্তিতে সম্প্রীতির আবহে বসবাস করেন। তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আমরা সম্মান করি। তার মধ্যে একজন বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ঘোরা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। শিখ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: মমতা সম্পর্কে ‘সম্মানহানিকর’ মন্তব্য? মহিলা কমিশনে অভিযোগ ধনখড়ের বিরুদ্ধে