পাকাপাকি ভাবে উধাও হয়েছে শীত। বসন্তের গোড়াতেই যেন গ্রীষ্মের আঁচ। ঋতু বদলের এই সন্ধিক্ষণে আগেও অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে বলে জানাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ২০২১ এবং ২০২২ সালের উদাহরণ দিয়ে এক প্রেস বিবৃতিতে অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধির ঘটনাকে ‘শ্বাসযন্ত্রের সাধারণ মরসুমি সংক্রমণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বর্তমানে ভাইরাল অতিমারির কোনও প্রমাণ নেই। বর্তমান পরিস্থিতি একটি মরসুমি বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই নয়। অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে।’’ জানানো হয়েছে, গত এক মাসে অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ৫২১৩টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। অ্যাডিনোভাইরাসের কারণে সরকারি হাসপাতালে ‘মাত্র’ ১২ জন মারা গিয়েছেন। মৃত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের ক্ষেত্রে গুরুতর সহ-অসুস্থতা (কো-মর্বিডিটি) ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন:
তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শুধু শিশু নয় এই সংক্রমণে যে কোনও বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারেন। তবে জন্মগত হৃদরোগ, গুরুতর অপুষ্টি ইত্যাদি সহ-অসুস্থতা-সহ অল্পবয়সি শিশুদের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি। রাজ্যের ১২১টি হাসপাতালে ৫ হাজারেরও বেশি বেড অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।