Advertisement
০৪ জুলাই ২০২৪
CV Ananda Bose On Chopra

নির্যাতিতরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান না! তাই ফিরে যাচ্ছেন দিল্লিতে, নিজেই জানালেন রাজ্যপাল

মঙ্গলবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে এসে কোচবিহারের ওই বিজেপি কর্মী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বললেও চোপড়ার নির্যাতিতরা জানিয়ে দেন, তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন না।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪২
Share: Save:

তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দিল্লি থেকে এসেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু চোপড়ার নির্যাতিতরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেননি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেই জানালেন সে কথা। শিলিগুড়ি থেকে বাগডোগরা থেকে দিল্লি ফেরার বিমান ধরার আগে বোস বলে গেলেন, ‘‘নির্যাতিত এবং তাঁদের পরিবারের সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।’’ তবে একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাংলা মহিলাদের বসবাসের যোগ্য নয়।’’

মঙ্গলবার চোপড়ায় যাবেন বলে সোমবারেই দিল্লি থেকে কলকাতায় না ফিরে সোজা শিলিগুড়ি পৌঁছেছিলেন রাজ্যপাল বোস। কথা ছিল, মঙ্গলবার সকালে সড়কপথে পৌঁছবেন চোপড়ায়। কথা বলবেন চোপড়ার নির্যাতিত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। কথা ছিল, চোপড়ার ঘটনার দিন কয়েক আগে কোচবিহারে যে মহিলা বিজেপি কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে এসে কোচবিহারের ওই বিজেপি কর্মী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বললেও চোপড়ার নির্যাতিতরা জানিয়ে দেন, তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন না। পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সে কথা জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ওঁরা পরেও চাইলে আমার সঙ্গে কলকাতায় রাজভবনে গিয়ে দেখা করতে পারেন। অথবা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জানাতে পারেন।’’

চোপড়ার ঘটনার কিছু দিন আগেই ‘রাজভবনে যেতে মহিলারা ভয় পাচ্ছেন’ বলে নবান্নে বসে মন্তব্য করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই মন্তব্যে ‘ক্রুদ্ধ’ রাজ্যপাল বোস তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন। মঙ্গলবার চোপড়ার নির্যাতিতরা তাঁর সঙ্গে দেখা না করার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে প্রায় একই সুরে বিঁধেছেন তিনি। বলছেন, ‘‘বাংলায় দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। টাকা, রাজনীতি এবং সরকারি ক্ষমতা একসঙ্গে মিলে এ সব করাচ্ছে। অথচ রাজ্যবাসীর অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের এবং পুলিশমন্ত্রীর। কিন্তু আমি দেখছি, সরকারই বরং টাকা দিয়ে হিংসায় প্রশ্রয় দিচ্ছে, আরও হিংসা ছড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে।’’ রাজ্য সরকারের মুখ এবং পুলিশমন্ত্রী— দুই-ই মমতা। রাজ্যপাল কোনও রাখঢাক না করেই চোপড়ার ঘটনা নিয়ে আক্রমণ করেছেন তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chopra Assault Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE