রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে, তবে এই নিয়োগের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরে। জনস্বার্থে দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি দেড় মাস পরে।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী জনৈক রীতা হালদার। তাঁর বক্তব্য, প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে রাজ্য সরকার গত বছরের গোড়ায় কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে। কেন্দ্র সেই আবেদন মঞ্জুর করে। শর্ত হিসাবে জানায়, ২০১৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। রাজ্য সেই শর্ত পূরণ করেনি। তাই গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক। মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েকটি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ‘ইন্টারভিউ’ ২১-২৮ অক্টোবর হবে বলে গত ১২ অক্টোবর রাজ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কিন্তু ১২ অক্টোবর সরকারি ছুটি ছিল। ছুটির দিনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যায় না।
এ দিন ওই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) উত্তীর্ণদের মধ্যে যাঁরা প্রশিক্ষণহীন, তাঁদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়সীমা গত ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছে। যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁরা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন না। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল আদালতে জানান, ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন’-এর নির্দেশ, প্রশিক্ষণহীন কোনও প্রার্থী নিযুক্ত হলে দু’বছরের মধ্যে তাঁকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের প্রশ্ন ওঠে না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন জানায়, শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু মামলার ফলাফলের উপরে নির্ভর করবে নিয়োগের ভবিষ্যৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy