এখন স্কুলপ্রধানের নিয়োগকর্তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফাইল চিত্র।
একদা পরিচালন সমিতিই স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্বাচন করত। তখন ওই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাই সংরক্ষণের কোনও প্রশ্ন ছিল না। এ বার থেকে অবশ্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি মেনে চলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সোমবার জানান, আগে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা ছিল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন সমিতি। এখন স্কুলপ্রধানের নিয়োগকর্তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আগে ‘সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট’ হিসেবে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করত। সিঙ্গল ক্যাডার পোস্টে সংরক্ষণ ছিল না। কিন্তু এ বার থেকে ওই পদে সার্বিক নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছে, তাই সংরক্ষণের নীতি মানতে হবে। সিদ্ধার্থ জানান, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে পরীক্ষার নম্বরের পার্থক্যের জন্য অ্যাকাডেমিক স্কোর হেরফের করত। এখন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থী কোন স্তর পর্যন্ত পাশ করেছেন, নিয়োগের সময় তার উপরেই নম্বর দেওয়া হবে। কোন পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে না।
তবে স্কুলপ্রধানের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি প্রয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা শিবিরেরই অনেকের আপত্তি আছে। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক-নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সংরক্ষণের আওতায় চলে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই স্কুলপ্রধানের পদটি শেষ পর্যন্ত শূন্য থেকে যেতে পারে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy